Wednesday, October 28, 2009

0 সর্দারজি - ১

3:25 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
১। সর্দারঃ আমার মনে হয় ঐ মেয়েটা কালা, কানে শোনে না।
বন্ধুঃ কিভাবে বুঝলি?
সর্দারঃ আমি বললাম, তোমায় ভালবাসি, সে বলে কি না তার চপ্পলজোড়া নতুন।


২। এক সর্দার ATM থেকে টাকা তুলছিল, লাইনের পেছনের সর্দার বলল, হা হা , তোমার পাসওয়ার্ড দেখে ফেলছি, চারটা এসটেরিক্স (****)।
প্রথম সর্দার বলল, হা হা, হা, না পার নাই, ভুল হইছে, ঐটা ২৩৭৮।


৩।সর্দারজীঃ আমার মোবাইল বিল কত?
কল সেন্টারঃ স্যার,কারেন্ট বিল জানতে ১২৩ ডায়াল করুন।
সর্দারজীঃ বেয়াকুফ, কারেন্ট বিল না, আমার মোবাইল বিল।


৪। শিক্ষকঃ সবচেয়ে প্রাচীনতম প্রাণী কোনটা?
সর্দারঃ জেব্রা
শিক্ষকঃ কিভাবে?
সর্দারঃ কারণ তারা Black & White


৫। সর্দারঃ মিস আপনি আমার মোবাইলে কল দিয়েছেন?
শিক্ষকঃ আমি, ? না কেন?
সর্দারঃ গতকাল আমার মোবাইলে দেখলাম- “1 Miss Call".


৬। শিক্ষকঃ কমলা আর আপেলের মধ্যে পার্থক্য কি?
সর্দারঃ কমলার রং কমলা, কিন্তু আপেলের রং আপেল না।


৭। সর্দার প্লেনে করে বম্বে যাচ্ছে, ল্যান্ডিংয়ের সময় চিৎকার করে উঠল, বম্বে, বম্বে।
বিমানবালা বলল, বি সাইলেন্ট।
সর্দারঃ ওকে, ওম্বে, ওম্বে।


৮। সর্দারঃ আমার ছেলে একটা চাবি গিলে ফেলেছে।
ডাক্তারঃ কখন?
সর্দারঃ তিনমাস আগে।
ডাক্তারঃ এতদিন কি করেছেন?
সর্দারঃ ডুপ্লিকেট দিয়ে কাজ সেরেছি।


৯। সর্দার কেন রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে টিফিন বক্স খোলে?
অফিসে যাচ্ছে না আসতেছে কনফার্ম করার জন্য।


১০। সর্দারঃ বিদ্যুত আবিষ্কার না হলে কি হত?
আরেক সর্দারঃ নাথিং ইয়ার, আমাদের মোম জ্বালিয়ে টিভি দেখতে হত।


১১। শিক্ষকঃ যীশুখ্রীস্ট, কৃষ্ণ, রাম, গান্ধী, বুদ্ধ এদের মধ্যে কি মিল আছে?
সর্দারঃএরা সবাই সরকারী ছুটির দিনে জন্ম নিয়েছেন।


১২। সর্দার দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছে-
ডিম আগে না মুরগী আগে?
আরে ইয়ার, যেটা আগে অর্ডার দিবে, সেটাই আগে আসবে।


১৩। পোস্টম্যানঃ তোমার এই প্যাকেট ডেলিভারী দেয়ার জন্যে আমাকে ৫ মাইল আসতে হল।
সর্দারঃ তুমি এতদূরে আসলে কেন, পোস্ট করে দিলেই পারতে।


১৪। সর্দার এবং তার বউ ডিভোর্সের জন্যে আবেদন করেছে। বিচারক জানতে চাইল, তোমাদের তো তিন সন্তান, এদের ভাগাভাগি করবে কিভাবে?
সর্দারঃ ওকে! আমরা আগামী বছর আবেদন করব।


১৫। একলোক সর্দারজীর কাছে জানতে চাইল, বলত, কেন মনমোহন সিং সন্ধ্যার সময় হাঁটতে বেরোয়?
সর্দারজীঃ আরে ভাই মনমোহন তো PM , সেতো আর AM না।


১৬। মৃতপ্রায় চাইনীজ বন্ধুকে দেখতে সর্দার হাসপাতালে গেল। চাইনীজ বন্ধু কোনভাবে বলল, "CHIN YU YAN" এবং এরপরে মারা গেল। বন্ধুর শেষ কথার মানে জানতে সর্দার চায়না গেল, এবং জানতে পেল ওটার মানে হল, "তুমি অক্সিজেন টিউবের উপর দাঁড়িয়ে আছ"।


১৭। সর্দার কেন ক্যাপসুল খাবার আগে সাইড কেটে নেয়?
খুবই সোজা,
সাইড-ইফেক্ট ঠেকাতে।


১৮। সর্দার তোমার জন্ম কোথায়?
সর্দারঃ পান্জাব
লোকঃ কোন অংশ?
সর্দারঃ আরে, কোন অংশ, কোন অংশ করে কি বলতে চাইছ, পুরা শরীরই পান্জাবে জন্মেছে।


১৯। আইনজীবিঃ গীতার উপরে হাত রেখে বল....."
সর্দারঃ কি মুশকিল, সীতার উপরে হাত লাগায়ে তো কোর্টে আসলাম, এখন বলতেছে গীতার উপর হাত।


২০। গত একসপ্তাহ ধরে এক মেয়ে আমাকে ডিস্টার্ব করতেছে, আমি জানিনা কিভাবে আমার নাম্বার পাইল, যখনই কাউরে কল করি, ঐ মেয়ে বাধা দেয় বলে, প্লীজ, রিচার্জ ইয়োর কার্ড।


২১। সর্দার দুইটা সুইমিং পুল বানিয়েছে, এবং একটায় পানি ভরেনি।
কেন জানতে চাইলে সে বলল, ঐটা যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য।


২২। কিভাবে স্কুল বা কলেজে একজন সর্দারকে চেনা যায়?
......।
যখন শিক্ষক ব্ল্যাকবোর্ড মুছে তখন যে বা যারা নোট মুছে ফেলে।


২৩। সান্তা সিং এমবিবিএস পাস করে প্র‌্যাকটিসে নেমেছেন। একটা টর্চ দিয়ে প্রথমে রোগীর চোখ পরীক্ষা করলেন, তারপর জিহ্বা এবং শেষে কান।
পরীক্ষা শেষে বললেন, ব্যাটারী ঠিক আছে।


২৪। সর্দারজী পার্কে বসে আছেন, একজন জানতে চাইল, আর ইউ রিলাকসিং?
সর্দার বলল, না আমি মনজিত সিং।
Read More »

0 নন্দলালের কৌতুক

3:22 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]

একদিন নন্দলাল ভাবল, সে আত্মহত্যা করবে। তাই সে কিছু খাবারদাবার আর একটা পানির বোতল নিয়ে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করার জন্য রেললাইনের ওপর বসে আছে। খাবারদাবারও শেষ, কিন্তু ট্রেন আর আসে না। এমন সময় এক লোক এসে নন্দলালকে প্রশ্ন করল, ‘এত ব্যাগ নিয়ে এই রেললাইনের ওপর বসে করছেনটা কী, বলুন তো মশাই?’
নন্দলাল বলল, ‘মশাই, দেখুন তো কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি, কিন্তু ট্রেন আসার কোনো নিশানা নেই! ট্রেনে মরার বদলে শেষে না আবার খিদের জ্বালায়ই মরে যাই!’

একদিন নন্দলাল তার গাড়িটি ঠেলেঠুলে রাস্তা থেকে নিচে নামিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাশে একটা সাইনবোর্ডে ইংরেজিতে লেখা, ‘নন্দলাল ইজ জাস্ট স্ট্যান্ডিং দেয়ার।’ ঠিক ওই পথ ধরেই যাচ্ছিল হীরালাল। নন্দলালের এ অবস্থা দেখে তো হীরালাল অবাক। হীরালাল নন্দলালকে জিজ্ঞেস করল, ‘রাস্তা থেকে নেমে তুমি কী করছ এখানে?’
নন্দলাল বলল, ‘এবার আমি নোবেল পুরস্কার জেতার চেষ্টা করছি। তুমি বিরক্ত কোরো না তো! যাও এখন।’
হীরালাল বলল, ‘কিন্তু সেটা কীভাবে? তুমি তো দেখছি এক সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছ।’
নন্দলাল বলল, ‘বোকার মতো কথা বলো কেন। তুমি জানো না যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে আউটস্ট্যান্ডিং, তারাই কেবল নোবেল পায়। তাই তো আমি আউটস্ট্যান্ডিং হয়েই দাঁড়িয়ে আছি। এই যাহ্, তোমাকে বুদ্ধিটা দিয়ে তো ভুলই করে ফেললাম মনে হয়।’

একদিন নন্দলাল মাঠের মধ্যে কিছু লোকের অদ্ভুত দৌড় দেখে নিজেও তাদের পিছু পিছু দৌড়াতে লাগল এবং একজনকে বলল, ‘আরে মশাই, আপনারা এ রকম আঁকাবাঁকা করে দৌড়াচ্ছেন কেন?’ দৌড়াতে দৌড়াতেই একজন প্রতিযোগী বললেন, ‘এটা হচ্ছে গিয়ে ম্যারাথন দৌড়। জিতলে একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। তাই এভাবে দৌড়াচ্ছি।’ এবার নন্দলাল একটু ভেবে বলল, ‘কেবল একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে! তবে পেছনে এতগুলো লোক বোকার মতো দৌড়াচ্ছে কেন?’

একদিন নন্দলাল বিলের ধারে বসে আছে। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নন্দলালকে জিজ্ঞেস করল, ‘ভাই, এই বিলের গভীরতা কেমন হবে, বলতে পারেন?’ নন্দলাল একবাক্যেই বলে দিল, ‘হবে হয়তো এক ফুটের কাছাকাছি!’ এ কথা শুনে লোকটি তো তাজ্জব বনে গেল। সে আবারও নন্দলালকে জিজ্ঞেস করল, ‘মশাই, আপনি এত নিশ্চিত হলেন কী করে যে এই বিলের গভীরতা মাত্র এক ফুট? আপনি কি কখনো এই বিলে নেমেছিলেন?’ নন্দলাল বলল, ‘না, আমি কখনো এ বিলে নামিনি। তবে একটু আগে একটা হাঁসকে নামতে দেখেছি। কিন্তু হাঁসটার শুধু পা দুটোই জলে ডুবে ছিল। গভীরতা বেশি হলে তো পুরো হাঁসেরই ডুবে যাওয়ার কথা ছিল, তাই না!’

একদিন নন্দলাল এক ডাক্তার-বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় গেল। একটু পর হুট করেই বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টি দেখে ডাক্তার বললেন, ‘নন্দলাল, তোমার তো ছাতা নেই আর বাইরেও খুব বৃষ্টি, তুমি বরং আজকের রাতটা আমার বাসায়ই থেকে যাও।’ নন্দলাল তো এক কথায় রাজি হয়ে গেল। ভেতর থেকে ডাক্তার রাতের খাবারের জন্য নন্দলালকে ডাকতে এসে দেখলেন, সে নেই। ডাক্তার মহা চিন্তায় পড়লেন। একটু পর নন্দলাল গায়ের কাপড় ভেজা অবস্থায় হাতে একটা রাতের পোশাক নিয়ে ডাক্তারের সামনে হাজির হলো। ডাক্তার নন্দলালকে দেখে রাগত স্বরে বললেন, ‘আমাকে না জানিয়ে এতক্ষণ কোথায় ছিলে? আমি তো মহা চিন্তায় পড়েছিলাম।’ নন্দলাল বলল, ‘আমি যে বৃষ্টির কারণে আজকের রাতটা তোমার বাসায় থাকব, সে কথাটি আমার বাসায় বলতে গিয়েছিলাম। আর সেই সঙ্গে রাতের পোশাকটাও নিয়ে এলাম।’
Read More »

0 সর্দারজি - ২

3:20 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
একবার ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে সর্দারজির চোখ তো ছানাবড়া। তিনি রচনা পড়ে গিয়েছেন ‘মাই ফ্রেন্ড’ আর প্রশ্নে এসেছে ‘মাই ফাদার’। প্রশ্ন নিয়ে কিছুক্ষণ উসখুস করে ভাবতে লাগলেন, কী করা যায়? হুম্, পেয়েছি। বিষয়টা পানির মতোই সহজ মনে হচ্ছে। শুধু ফ্রেন্ডের জায়গায় ফাদার বসিয়ে দিলেই তো খেল খতম! তো এই ভেবেই সর্দারজি ইংরেজিতে ‘মাই ফাদার’ রচনা লেখা শুরু করলেন এভাবে, ‘আমার অনেক বাবা আছে, কিন্তু দারা সিং আমার খুব প্রিয় একজন বাবা। তিনি প্রায়ই আমাদের বাসায় আসেন। তাঁর সঙ্গে আমি অনেক খেলা করি। আমার মাও তাঁকে খুব পছন্দ করেন।’
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের বাবাই প্রকৃত বাবা।’
*
একবার তিন সর্দারজি সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখানে একটি ১০০ তলা হোটেলের ঠিক ১০০ তলায়ই কক্ষ ভাড়া পেলেন।
এক গভীর রাতে বাইরে থেকে ফিরে লিফট বন্ধ থাকায় প্রতি ৩৩ তলায় একজন একটা করে গল্প বলে বলে সিঁড়ি ভেঙেই ওপরে উঠতে থাকলেন তিন সর্দার। উঠছেন আর গল্প করছেন। প্রথম সর্দারজি ৩৩ তলায় উঠে গল্প বলা শেষ করার পর তৃতীয় সর্দারজি জানালেন, ‘আমার কাছে আরও একটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু সেটা আমি একদম ওপরে উঠে বলব।’ সবার গল্প শেষ হলে তাঁরা ১০০ তলায় পৌঁছালেন।
এরপর প্রথম সর্দারজি তৃতীয় সর্দারজিকে: তো বাপু, তোমার করুণ গল্পটা কী, বলো তো দেখি।
তৃতীয় সর্দারজি: আমি ম্যানেজারের কক্ষ থেকে আমাদের কক্ষের চাবিটাই আনতে ভুলে গেছি।
কী আর করা, আবারও সিঁড়ি ভেঙে নিচতলার দিকে নামতে লাগলেন তাঁরা। এমন সময় দ্বিতীয় সর্দারজি বলে উঠলেন, ‘আরে, আমার কাছেও তো আরেকটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু আমি তা নিচে নেমেই বলব!’
নিচে নামার পর তাঁকে বলা হলো, ‘ঠিক আছে, এবার শোনাও তোমার সেই করুণ কাহিনী।’
দ্বিতীয় সর্দারজি: আমাদের কক্ষের চাবিটা আমার পকেটেই রয়ে গেছে।
রাগে-ক্ষোভে বাধ্য হয়েই তাঁরা আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে যাচ্ছেন। কিছুদূর গিয়েই তৃতীয় সর্দারজি বললেন, ‘ওহে, আমার কাছেও তো একটা করুণ গল্প ছিল। কিন্তু এখন তো আমার ক্লান্ত লাগছে, তাই একদম ওপরে উঠেই তোমাদের গল্পটা শোনাব।’
এভাবে হেঁটে ১০০ তলায় ওঠার পর তৃতীয় সর্দারজিকে তাঁর গল্পের কথা বলা হলো।
তৃতীয় সর্দারজি: আসলে এটা তো আমাদের হোটেল নয়। এটার ঠিক বিপরীতে ১০০ তলা যে হোটেলটি দেখা যাচ্ছে, সেটিই হচ্ছে আসলে আমাদের হোটেল।
*
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সর্দারজির খুব ঘুম পাচ্ছিল তখন। তিনি তাঁর সামনে বসা এক ব্যক্তিকে ২০ রুপি দিয়ে বললেন, ‘দাদা, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে দয়া করে আমাকে ডেকে দেবেন।’ লোকটি ছিলেন একজন সামান্য ক্ষৌরকার। বেচারা ২০ রুপি পেয়ে বেজায় খুশি। সে ভাবল, ২০ রুপি যখন দিলই, তখন শুধু জাগিয়ে দেওয়াই কেন, আরেকটু খেদমত করা যাক সর্দারজিকে। তাই সর্দারজি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ঝোলা থেকে ক্ষুর বের করে খুব যত্নের সঙ্গে তাঁর সব দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিলেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে এসে নরসুন্দরের ডাকে সর্দারজির ঘুম ভেঙে গেল। হেলেদুলে বাসায় ফিরলেন সর্দারজি। হাতমুখ ধুতে গিয়ে হঠাত্ আয়নায় তাকালেন একবার। তাকিয়েই ভীষণ অবাক তিনি, আরে, ব্যাপার কী, আপনি কে? তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিলেন, ‘আরে সব্বনাশ হয়েছে, আমার ২০ রুপি খেয়ে ওই গর্দভ আমার সঙ্গে চালবাজি করেছে। আমাকে না জাগিয়ে, জাগিয়ে দিয়েছে অন্য আরেকজনকে!’
*
প্রশ্নকর্তা: আপনার জন্মদিন কবে?
সর্দারজি: ১৩ অক্টোবর।
প্রশ্নকর্তা: কোন সালে?
সর্দারজি: আরে মশাই, বোকার মতো কথা বলছেন কেন! প্রতিবছরই তো আমার জন্মদিন।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, ইংরেজিতে একটি শব্দ বানান করে লিখতে পারবেন, যাতে ১০০টি লেটার থাকে?
সর্দারজি: কেন! P...O...S...T...B...O...X.
প্রশ্নকর্তা: হুম্, এবার কল্পনা করুন তো, আপনার ঘরে আগুন লেগেছে। কী করে ঘর থেকে বেরোবেন?
সর্দারজি: কেন! আমি কল্পনা করাই বন্ধ করে দেব।
Read More »

0 সর্দারজি - ৩

3:18 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]

একবার এক রেস্তোরাঁয় সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু কফি খেতে ঢুকেছেন। তাঁরা গল্প করতে করতে কফি খাচ্ছেন। হুট করে মূল্যতালিকার দিকে চোখ পড়তেই সর্দারজি তাঁর বন্ধুকে বললেন, ‘আরে ভাই, কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি কফি শেষ করো; নইলে এই এক কাপ কফির জন্য আবার দ্বিগুণ দাম গুনতে হবে।’ বন্ধুটি বলে বসলেন, ‘মগের মুল্লুক নাকি, এক কাপ কফি খেয়ে দুই কাপের দাম দেব!’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা, বেশি বকবক না করে মূল্যতালিকার দিকে তাকাও। এক কাপ হট কফির দাম ১০ টাকা, আর কোল্ড কফির দাম ২০ টাকা। কফি ঠান্ডা হয়ে গেলে তো মহা ঝামেলায় পড়ব।’

দুই সর্দারজি তাঁদের বাবাদের কাজকর্ম নিয়ে তর্কবিতর্ক করছেন—
প্রথম সর্দারজি: তুমি কখনো সুয়েজ খালের কথা শুনেছ?
দ্বিতীয় সর্দারজি: শুনব না আবার! এটা তো ছোট্ট বাচ্চাও জানে।
প্রথম সর্দারজি: হুম...এই খাল পুরোটাই আমার বাবা খনন করেছিলেন।
দ্বিতীয় সর্দারজি: চাপাবাজি ছাড়ো, এটা কখনো হতেই পারে না। কিন্তু তুমি কি ডেড সির কথা জানো?
প্রথম সর্দারজি: কেন, কী হয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এত কিছু জানো, আর এটাই জানো না। আমার বাবাই তো ওটাকে মেরে ফেলেছিলেন।

একদিন সর্দারজি তাঁর অফিসের ১৫তম তলায় বসে আছেন। হুট করে এক লোক হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এসে তাঁর গায়ে ধাক্কা মেরে বললেন, ‘বান্তা সিং, আপনার মেয়ে জয়িতা তো গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’ এ কথা শুনে কী করবেন ভেবে না পেয়ে সর্দারজি জানালা দিয়ে দিলেন এক লাফ। ওপর থেকে পড়তে পড়তে যখন দশম তলার কাছে এলেন, ঠিক তখনই তাঁর মনে হলো, জয়িতা নামে তাঁর তো কোনো মেয়ে নেই। পঞ্চম তলার কাছাকাছি আসতেই আবার তাঁর মনে হলো, তাঁর তো এখনো বিয়েই হয়নি, ‘ওই ব্যাটা ত্যাঁদড় মিথ্যা কথা বলে আমাকে জানালা দিয়ে লাফ দেওয়াল। এবার ঠিক যে মুহূর্তে তিনি মাটিতে পড়ে যাবেন, ঠিক সেই সময় তাঁর মনে হলো, ‘আরে, আমি তো বান্তা সিং নই!’ তাহলে...

সর্দারজি একবার ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। চেকার সর্দারজির কাছে টিকিট দেখতে চাইলেন। সর্দারজি ভদ্রভাবে জানালেন, ‘আমার ডান পকেটে একটা আর বাঁ পকেটে আরেকটা টিকিট আছে। কোনটা দেখাব?’ টিকিট চেকার ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, দুটোই দেখাও।’ তো দুটো টিকিট দেখার পর চেকার সর্দারজির কাছে একসঙ্গে দুটো টিকিট কেনার কারণ জানতে চাইলেন। সর্দারজি বললেন, ‘যদি কেউ আমার একটা পকেট মেরে দেয়, তাহলে তো আরেকটা পকেটে টিকিট থাকল। সেটা দিয়ে কাজ চালাব।’ চেকার আবার বললেন, ‘মনে করো, তোমার দুটো পকেটই চুরি হয়েছে, তখন কী করবে?’
সর্দারজি, ‘আরে মশাই, আমি কি অত বোকা নাকি, শুধু দুটো টিকিট নিয়েই আমি ট্রেনে চেপে বসেছি মনে করেছেন! আমার কাছে প্যান্টের পকেটে তো পুরো এক মাসের ফ্রি পাসই আছে।’

একদিন এক সর্দারজি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে প্রথমবারের মতো মুম্বাই শহরে গিয়েছেন। সকালবেলায় বাবা শহরের এক মাথায় তাঁকে নামিয়ে দিয়ে ঘোরাঘুরি করে যেদিকে সূর্য ওঠে সে পথ ধরে বাসায় যেতে বলেছেন। তো ঘোরাঘুরি করার পর তিনি আর বাসায় ফেরার পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কী করা যায়, এ নিয়ে ভাবতে লাগলেন। একবার চিন্তা করলেন, কাউকে জিজ্ঞেস করা যাক। ওই পথ ধরেই হেঁটে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। সর্দারজি ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, ‘দাদা, এই মুম্বাই শহরে সূর্যটা কোন দিক দিয়ে ওঠে, বলতে পারেন?’ সেই ব্যক্তি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, ‘না ভাই। আমি এই শহরে নতুন এসেছি। এখনো ভালো করে দেখতেই পারিনি যে এখানে সূর্যটা কোন দিকে ওঠে।’

একবার সর্দারজি একটি নতুন মারুতি কিনে ভাবলেন, কিছুদিনের জন্য এ গাড়ি চালিয়ে বন্ধুর বাসা থেকে ঘুরে আসা যাক। তো গাড়ি চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বন্ধুর বাসায় পৌঁছলেন। কয়েক দিন পর ফেরার পালা। সর্দারজি তাঁর মাকেও জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসছেন তিনি। কিন্তু এক ঘণ্টা যায়, দুই ঘণ্টা যায়, সর্দারজি বাসায় ফেরেন না। অবশেষে যখন সর্দারজি বাসায় পৌঁছলেন, তখন এক দিন পার হয়ে গেছে। মা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, দেরি হওয়ার কারণ কী? সর্দারজি বললেন, ‘যারা মারুতি গাড়ি বানিয়েছে, তারা তো একদম পাগল। সামনে যাওয়ার জন্য বানিয়েছে চার গিয়ার আর পেছনে যাওয়ার জন্য মাত্র এক গিয়ার। এ জন্যই তো পেছনে আসতে এত দেরি হলো!’
Read More »

0 কৌতুক

3:16 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]

এক কচ্ছপ গেছে স্টেশনমাস্টারের কাছে।
‘আচ্ছা, সিলেট যাওয়ার ট্রেনটা কখন আসবে?’
‘সে তো আরও দুই ঘণ্টা দেরি।’ জানালেন স্টেশনমাস্টার।
আচ্ছা, চট্টগ্রাম থেকে ফিরবে যে ট্রেনটা, সেটা কখন আসবে?
‘তিন ঘণ্টার আগে নয়।’ স্টেশনমাস্টারের ত্বরিত জবাব।
সব শুনে কচ্ছপ কী বুঝল কে জানে, গুটি গুটি পায়ে প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের দিকে এগোল। দেখে একটু মনখারাপই হলো স্টেশনমাস্টারের। পেছন থেকে হেঁকে ডাকলেন কচ্ছপকে—কিহে, কোথাও যেতে চাইছিলে? টিকিট লাগবে?
‘কোথাও যাচ্ছি না। আমি শুধু নিশ্চিত হতে চাইছিলাম আমি রেললাইনটা পার হওয়ার আগেই আবার হুড়মুড়িয়ে কোনো ট্রেন এসে পড়ে কি না।’ জবাব দিল কচ্ছপ।

এক ডাক্তার গেছেন দোকানে। জুতা কিনে কাউন্টারে মূল্য পরিশোধ করে ফেরার সময় দোকানদারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘জুতাগুলো কেমন টিকবে।’
‘এটা নির্ভর করছে ব্যবহারের ওপর। আপনি যদি জুতা পায়েই না দেন, তবে সারা জীবনেও এগুলোর কিছু হবে না।’ রসিকতা করে দোকানদার বললেন।
কিছুদিন পর ওই দোকানদার অসুস্থ হয়ে গেছেন ওই ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার তাঁকে দেখেটেখে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিলেন। ডাক্তারের ফি জমা দিয়ে যাওয়ার সময় রোগী জিজ্ঞেস করলেন, ‘ভালো হতে কত দিন লাগতে পারে, ডাক্তার সাহেব?’
‘এটা নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। আপনি ওষুধগুলো না খেলে সারা জীবনেও কিছু হবে না।’ জবাব দিলেন ডাক্তার।

একদিন ক্লাসে শিক্ষক হঠাত্ প্রশ্ন করলেন, ‘যারা নিজেকে বোকা ভাবো তারা উঠে দাঁড়াও।’ স্বাভাবিকভাবেই কেউ উঠে দাঁড়াল না। খানিক পর মুখে একটা ফিচেল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়াল ক্লাসের সবচেয়ে পাজি ছাত্রটা।
শিক্ষক: ওহ্, তাহলে তুমি নিজেকে বোকা ভাবো?
ছাত্র: ব্যাপার হচ্ছে স্যার, ঠিক তা নয়। পেছন থেকে আপনার দাঁড়িয়ে থাকাটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।

নতুন চাকরি হারিয়ে এক লোক হঠাত্ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ল। শেষ টাকা দিয়ে হোটেলে খাওয়ার সময় মনে মনে একটা ফন্দি আঁটল। সিনেমায় যেভাবে অপহরণ করে মুক্তিপণের টাকা পাওয়া যায়, সেভাবে কিছু একটা তাকে করতে হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। হোটেল থেকে বেরিয়ে সে চলে গেল বাচ্চাদের খেলার মাঠে। সেখান থেকে একটি ছেলেকে ধরে নিজের বাসায় নিয়ে গেল। এরপর একটি চিঠি লিখল বাচ্চার বাবার উদ্দেশে, ‘১০ লাখ টাকা নিয়ে খেলার মাঠে আসুন। না হলে আপনার বাচ্চা ফেরত পাবেন না।’ এরপর তার মাথায় এল, চিঠিটা কি বাচ্চার বাবার কাছে পৌঁছাবে?
অনেক ভেবেচিন্তে শেষে চিঠি ছেলেটার হাতে দিয়ে বললেন, ‘এটা তুমি তোমার বাবাকে দেবে।’ এরপর ছেলেকে তিনি তার বাসায় পৌঁছে দিয়ে এলেন।

বিল ক্লিনটনের সময় এক জাপানি মন্ত্রী দেখা করতে যাবেন ক্লিনটনের সঙ্গে। কিন্তু সমস্যা হলো, তিনি ইংরেজি জানেন না। তাই তাঁকে ক্লিনটনের সঙ্গে কথা বলার মতো কয়েকটি ইংরেজি শিখিয়ে দেওয়া হলো। যেমন, প্রথমেই যেন তিনি ক্লিনটনের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে বলেন, ‘হাউ আর ইউ?’ তখন ক্লিনটন বলবেন, ‘ফাইন, অ্যান্ড ইউ?’ তখন তিনি বলবেন,‘মি টুু।’
যথাসময়ে তিনি আমেরিকা পৌঁছালেন। ঠিক সময়ে বিল ক্লিনটনও তাঁর সামনে এলেন। কিন্তু সমস্যা হলো, এর মধ্যে জাপানি মন্ত্রী যা শিখে এসেছিলেন, সেসব বেমালুম ভুলে গেছেন।
ক্লিনটন এসে করমর্দন করলেন। জাপানি ভদ্রলোক বললেন, ‘হু আর ইউ?’
ক্লিনটন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে একটু রসিকতা করে বললেন, ‘আই অ্যাম হিলারিস হাসব্যান্ড। হা হা হা, অ্যান্ড ইউ?’
‘মি টু’, হা হা হা হাসতে হাসতে জবাব দিলেন জাপানি মন্ত্রী।
Read More »

0 কৌতুক

3:15 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]

একজন আদর্শ পুরুষ কখনো নেশা করে না, কখনো নাক ডাকে না, কখনো টেলিভিশনে খেলা দেখে না, কখনো বউয়ের সঙ্গে তর্কে যায় না এবংএকজন আদর্শ পুরুষের কখনো অস্তিত্ব থাকে না।

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম বন্ধু: আমি এখন আর আমার বউয়ের সঙ্গে থাকি না।
দ্বিতীয় বন্ধু: কেন কেন?
প্রথম বন্ধু: তুই কি এমন কারও সঙ্গে থাকতে পারবি যে নেশা করে, সিগারেট খায়, রাতে দেরি করে বাসায় ফেরে?
দ্বিতীয় বন্ধু: কোনো দিনও না।
প্রথম বন্ধু: আমার বউয়েরও একই কথা।

প্রথম বান্ধবী: জানিস, আমার স্বামী এখন কোথায় আছে?
দ্বিতীয় বান্ধবী: কেন, কোথায়?
প্রথম বান্ধবী: র্যাবে।
দ্বিতীয় বান্ধবী: ওয়াও! কখন গেছে?
প্রথম বান্ধবী: গত রাতে র্যাব তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

স্বামী: যখন আমি থাকব না তখন দেখবে আমার মতো এমন মানুষ তুমি আরেকজন খুঁজে পাবে না!
স্ত্রী: আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে যে আমি তোমার মতো আরেকজন মানুষ খুঁজতে যাব!

স্বামী: আমি আজ তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বানাব।
স্ত্রী: তাই! শুনে ভালো লাগল। আমিও তোমাকে খুব মিস করব।

ঝগড়ার একপর্যায়ে মহা ক্ষিপ্ত স্ত্রী বলছেন, ‘তোমার এই পোড়া সংসারের কপালে ঝাঁটার বাড়ি দিই আমি!’ হাসতে হাসতে স্বামী বললেন, ‘যাক, এত দিন পর তাহলে ঘরের সব ময়লা দূর হবে বলে মনে হচ্ছে!’

এক মহিলা তাঁর স্বামীর অফিসে গিয়ে এক নারী-কর্মচারীর গলায় সোনার দামি চেইন দেখে ভীষণ অবাক। বাসায় ফিরে তিনি স্বামীকে অনুযোগের সুরে বলছেন, ‘তোমার অফিসের ওই কর্মচারী মহিলাকে দেখেছ, কী দারুণ একটা সোনার চেইন পরেছে! এত বেতনের চাকরি করেও তো তেমন একটা চেইন দিতে পারলে না আজ পর্যন্ত!’ স্বামী বেখেয়ালে বলে ফেললেন, ‘আরে দূর, ওটা তো সস্তা দামের ইমিটেশন। গুলিস্তানের মোড়ে কত পাওয়া যায়!’
Read More »

1 ভোলা নাথের কৌতুক‍

2:57 AM Under From রেজওয়ান
[1 Comment]

একবার ভোলার কাছে তার বন্ধু রামের একটি চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘ভোলাজি, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’ এই চিঠি পেয়ে ভোলার মাথা তো একদম গরম। ওই ব্যাটা রাম যে একটা জোচ্চোর তা ভালো করেই জানে ভোলা। মরে গেলেও সে কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না। মহা চিন্তায় পড়ল ভোলা। ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই। ভোলা চিঠিতে লিখে দিল, ‘ভাই রামজি, আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’

একবার এক অভিনব কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সর্বমোট ১০০টি কৌতুক বলা হবে। যে ব্যক্তি পুরো ১০০টি কৌতুক শোনার পরও একটুও হাসবে না, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তো, এই খবর শুনে ভোলা বন্ধুবান্ধব নিয়ে লাফাতে লাফাতে সেখানে গিয়ে হাজির। ভোলাসহ সব প্রতিযোগী নিজ নিজ আসনে বসে আছে। সামনে চলছে কৌতুক পরিবেশন। কৌতুক শুনে সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে একজন একজন করে বাদ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভোলার মুখে কোনো হাসি নেই। এভাবে ৯৯টা কৌতুক শেষ এর পরও ভোলাকে কেউ হাসাতে পারল না। কিন্তু ১০০ নম্বর কৌতুক শুনেই পেট চেপে ধরে হাসতে হাসতে ভোলা গড়াগড়ি দিচ্ছিল। তার বন্ধুরা তো এবার রেগে অগ্নিশর্মা। পাশ থেকে বলতে লাগল, ‘আরে বুদ্ধু, এই শেষবেলায় এসে হাসছিস কেন? পুরস্কারটা তো আমাদের হাতছাড়া করে দিলি। সব বরবাদ হয়ে গেল’ ভোলা বলল, ‘আরে দোস্ত, আমি কী করব? এইমাত্র কানে লাগানো ছিপিটা খুলে গেল যে।

একদিন ভোলা এক মুদিদোকানে গেল তার বিড়ালের জন্য খাবার কিনতে। তাকে দেখে দোকানদারের একটু সন্দেহই হলো, ভোলার তো কোনো বিড়াল নেই। ওই ব্যাটা বিড়ালের খাবার অল্প দামে কিনে শেষে না আবার নিজেই খেয়ে ফেলে। তাই দোকানদার জানিয়ে দিল, তাকে ওই বিড়ালটি দেখাতে হবে। তারপর সে বিড়ালের খাবার বিক্রি করবে। কী আর করা! বাসা থেকে ভোলা বিড়াল এনে দেখিয়েই খাবারটি কিনল।
পরের সপ্তাহে আবার ভোলা ওই একই দোকানে গেল তার প্রিয় কুকুরটির জন্য খাবার কিনতে। কিন্তু এবারও মহা ফ্যাসাদে পড়ে গেল সে। দোকানদারও নাছোড়বান্দা। কুকুর তাকে দেখাতেই হবে। তারপর খাবার বিক্রি। তো ভোলা আবারও বাসা থেকে কুকুর এনে দোকানদারকে দেখিয়ে খাবার নিয়ে গেল।
কিছুদিন পর আবারও ভোলা হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে ওই দোকানে গিয়ে হাজির। ব্যাগটি দোকানদারকে দিয়ে বলল, ‘দেখেন।’ দোকানদার ব্যাগ খুলে ওয়াক ওয়াক থু থু করতে লাগল, ‘ছি ছি ভোলা, তুমি কফ-থুথু এসব ব্যাগে ভরে নিয়ে এসেছ কেন!’ ভোলা বলল, ‘আরে মশাই, ঠিকই তো আছে। এবার যে আমি টিস্যু পেপার কিনতে এসেছি!’

জীবনের প্রথম ভোলানাথ গ্রাম থেকে শহরে এসে একটা হোটেলে উঠেছে। হোটেলবয় তাকে কক্ষ দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ছোট্ট একটা কক্ষে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ভোলানাথ দেখল সেখানে আরও একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তো তাকে ভোলানাথ বলল, ‘মশাই, দেখুন তো, আমি গ্রাম থেকে এসেছি। টাকাও সব শোধ করে দিয়েছি। কিন্তু এই ব্যাটারা কত ছোট্ট একটা ঘর আমাকে দিয়েছে। থাকার কথা ছিল আমার একার কিন্তু এখন দেখছি, মশাই, আপনিও আমার ঘরে। তারপর ওপরে আবার বিছানা নেই, নেই বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা। ব্যাটারা কেমন জোচ্চোর বুঝুন।’
এমন সময় হোটেলবয় এসে জানাল, ‘আরে মশাই, এটা তো আপনার কক্ষ নয়। এটা তো লিফট।’

ভোলানাথ আর তার কাকা একবার ব্যবসা করার পরিকল্পনা করল। অনেক ভেবেচিন্তে তারা ঠিক করল রেস্তোরাঁর ব্যবসা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। রেস্তোরাঁ তৈরি হলো। রান্নাবান্নাও হলো। তারপর তারা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কোনো ক্রেতাই সেদিন আর এল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহ পার হলো, কিন্তু ক্রেতার কোনো দেখা নেই।
শেষে জানা গেল, ভোলানাথ তাদের রেস্তোরাঁর সামনে বড় করে লিখে দিয়েছিল ‘দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ’।
তো ব্যর্থ হয়ে তারা ভাবল, তাদের দিয়ে আর যা-ই হোক রেস্তোরাঁর ব্যবসা হবে না। এবার তারা আবার মোটর গ্যারেজের ব্যবসা শুরু করল। যন্ত্রপাতিও কেনা হলো। কিন্তু ‘যাহা কদু তাহাই লাউ’য়ের মতো অবস্থা। দিনমান অপেক্ষার পরও কোনো গাড়িই তাদের গ্যারেজে ঢুকল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহই শেষ, কিন্তু গাড়ির কোনো খবর নেই। তো, তাদের গ্যারেজে কোনো গাড়ি না আসার কারণ হলো, গ্যারেজটি ছিল একটি ভবনের তৃতীয় তলায়।
Read More »