Friday, November 20, 2009

0 কৌতুক

8:58 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
১.
কোনো অফিসের এক কর্মকর্তা তার সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করলেন_
: আচ্ছা, আপনি সারাক্ষণ কী এত চিন্তা করেন বলুন তো?
: ভাবি, পৃথিবী থেকে যদি একদিন সব মূর্খ লোক ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায়, তাহলে তার পরিণাম কী হতে পারে!
: তাই! সারাজীবন শুধু নিজেকে নিয়েই ভাবলেন রে ভাই।
২.
পুলিশ : কী ব্যাপার, পেছন থেকে এত ডাকছি, আপনি গাড়ি থামালেন না কেন?
চালক : ওহ, আমি ভেবেছি আমার বন্ধু ডাকছে। ওর গলা আপনারই মতো। রাস্তায় দেখা হলেই ও শুধু ডাকে আর টাকা চায়।
Read More »

Thursday, November 5, 2009

0 ৭টি রাশিয়ান কৌতুক

1:26 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
০১.
আচ্ছা, সভিয়েট ইউনিয়নে দুটি পত্রিকা কেন? কেবল প্রাভদা (সত্য) অথবা ইজভেস্তিয়া (সংবাদ) থাকলেই তো হতো।
উত্তর: দুটিই দরকার। কারণ প্রাভদায় ইজভেস্তিয়া নেই আর ইজভেস্তিয়ায় প্রাভদা নেই।


০২.
ক্লাসে এক ছাত্র: স্যার শুনলাম আমেরিকায় নাকি বিশ্বে সবচেয়ে বড় বিল্ডিং আছে?
টিচার: ইভানভ, তুমি ঠিকই বলেছ, তবে কি জান, আমেরিকানরা সভিয়েট ইউনিয়নের মতো বড় সাইজের ইলেকট্রিক ট্রানজিস্টর বানাতে পারে না।


০৩.
আচ্ছা, সুইজারল্যান্ডে কি কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
উত্তর: খুবই সম্ভব, কিন্তু ওরা তো তোমার কোনো ক্ষতি করে নাই...


০৪.
গ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির মিটিং চলছে। বক্তৃতা দিচ্ছেন এক নেতা-
কমরেডস, কেবল আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন হোক, দেখবেন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসবে গোটা দেশ। আরে, তখন আমাদের সবারই একটা করে প্লেন থাকবে।
এক মুর্খ চাষা প্রশ্ন করলো- প্লেনের মালিক হয়ে আমরা কি করব?
নেতা: আরে কমরেড এটিও বুঝতে পারছেন না? ধরুন আপনার শহরের দোকানে আলুর সাপ্লাই নেই, নো চিন্তা, প্লেন নিয়ে মস্কো চলে যান, আলু কিনে ফিরে আসুন...


০৫.
মফস্বল শহরে পার্টি মিটিং। নেতা বক্তৃতা দিচ্ছেন:
কমরেডগন...দেখুন আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কমিউনিজম কতো পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। উদাহরণ তো হাতের কাছেই আছে, এই ধরুন সামনের সারিতে বসা মারিয়া। মুর্খ নারী ছিল। তার একটিই মাত্র জামা ছিল, কোনো জুতা ছিল না। আজ তার পায়ে জুতা আছে। ধরুন ইভানভ। গ্রামের সবচেয়ে গরীব ছিল। তার জমি ছিল না, বলদ ছিল না। আজ সে ট্রাক্টর চালায়, তার দু জোড়া জুতা। ধরুন সার্গেই। কী জীবন ছিল তার! রাস্তায় রাস্তায় ঘুরত। প্রচণ্ড তুষারপাতের রাতেও তাকে কেউ আশ্রয় দিত না, সব চুরি করে নিয়ে যাবে এই ভয়ে। সেই সার্গেই চোরা দেখুন আজ কতো বদলে গেছে। আজ সে পার্টির লোকাল সেক্রেটারি....


০৬.
এক রাশান, এক ফ্রেঞ্চ আর এক বৃটিশ তর্ক জুড়ে দিয়েছে, আদী পিতা আদম কোন জাতীয়তার ছিলেন সেই বিষয়ে।
ফ্রেঞ্চ বলছে: আদম ফরাসী না হয়েই যায় না। দেখ না, ইভকে সে কত্তো ভালবাসতো।
বৃটিশ বলছে: উহু। আদম আসলে ছিল বৃটিশ। দেখ, তার একটি মাত্রই আপেল ছিল আর সেটি সে ইভ কে দিয়ে দিল! যেন সাচ্চা বৃটিশ জেন্টলম্যান।
রাশান বলছে: তোমরা কিস্যু জানো না। যে লোকটি পুরো উদোম হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে, সম্বল মাত্র একখানি আপেল। আর তারপরও ভাবছে সে স্বর্গে আছে, সে রাশান না হয়ে যায় কোথায়...


০৭.
এক অলিম্পিকে এক সভিয়েট অ্যাথলেট হাতুরি নিক্ষেপে বিশ্ব রেকর্ড করলো। তাকে ইভেন্ট শেষে ঘিরে ধরল সাংবাদিকরা।
আপনি কি করে এত্তো দূরে হাতুরিটি মারতে পারলেন?
বলেন কি? এটা কোনো ব্যাপার হলো? হাতুরির সঙ্গে একটি কাস্তে জুড়ে দিন না, অ্যায়সা জোড়ে ছুড়ে মারব যে স্টেডিয়াম পার হয়ে যাবে।
Read More »

Wednesday, November 4, 2009

0 মেছো জোকস্

10:43 PM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
ছোট ছেলেটি স্কুলে যেতে দেরি করেছে । চুপি চুপি ক্লাসে ঢুকতে গিয়েছিল সুপারিটেন্ডেন্টের নজর এড়িয়ে । কিন্তু ধরা পড়ে গেল । সুপার খপ করে তাকে ধরলেন এবং দেরির জবাবদিহি চাইলেন । আমতা আমতা করে সে জবাব দিল :
আমি আজ মাছ ধরতে যাব ঠিক করেছিলাম, কিন্তু বাবা যেতে দিল না ।
সুপারের মুখ মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হল । -- বিচক্ষন পিতা তিনি বললেন । তোমাকে মাছ ধরতে যেতে না দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন । কারণটাও তিনি নিশ্চই ব্যাখ্যা করেছেন তাই না ?
ছোট ছেলেটি জবাব দেয় – হ্যাঁ নিশ্চই স্যার ! তিনি বললেন, যা টোপ আছে, তাতে আমাদের দুজনের কুলোবে না !


মৎস্যশিকারীদের আড্ডায় অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে বসেছিল স্যাম । তা দেখে তার বন্ধু প্রশ্ন করল, কী দোস্ত ! আজ দেখছি মুড অফ ! নতুন করে কিছু হল না কি ?
আর বল কেন ? বউ আলটিমেটাম দিয়েছে, হয় বরাবরের মতো আমাকে মাছ ধরা ছাড়তে হবে, নইলে সে আমাকে বরাবরের মতো ছেড়ে চলে যাবে ! হায় ভগবান! এত ভাল বউটাকে আমি হারাতে চলেছি !


এই যে সেদিন মাছ ধরতে গেলে, বউকে ব্যাপারটা বোঝাতে কোনও সমস্যা হয়নি তো ?
হয়নি আবার ! সেদিনই সে আবিষ্কার করেছিল যে আদৌ আমি মাছ ধরতে যাইনি !


সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি । স্বামীর বঁড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ । কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তুপে । স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন :
ওগো জলদি কর ! ঝাঁপ দাও ! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে ! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও । নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে !


মৎস্যশিকারীর প্রতিবেশী : এই যে রাম বাবু ! কাল না কি আপনারা কজন মিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ? হেঁ হেঁ ! তা মেজো মাছটা কে ধরলেন ? হেঁ হেঁ !
মেজো মাছ ? সেটা আবার কি ?
হেঁ হেঁ ! মানে সবচেয়ে বড় মাছের পরেরটা । সবচেয়ে বড় মাছটা তো নির্ঘাৎ আপনিই ধরেছেন, হেঁ হেঁ ! তার পরের বড় মাছটা কে ধরলেন, সেটাই জানতে চাইছি ! হেঁ হেঁ !




এক মেছুড়ে গপ্পো বলছে :
-- সেদিন জেটির ধারে ছিপ নিয়ে বসেছি । বসে আছি তো বসেই আছি । হঠাৎ ফাতনা নড়ে উঠল । স্বচ্ছ জলের ভিতর দিয়ে দেখি একটা পুঁটি মাছ টোপ গিলছে । এই তোমার কড়ে আঙুলের সাইজ । ওইটুকু মাছটাকে তুলব কিনা ভাবছি, এমন সময় দেখি বেশ বড় একটা রুইমাছ পুঁটিটাকে গিলে ফেলল । সবে টান দেবার উপক্রম করেছি । দেখি কি একটা বিশাল বোয়াল রুইটাকে কপাৎ করে খেয়ে ফেলল । জয়গুরু বলে দিলাম ছিপে টান ।
-- তারপর ? অধৈর্য শ্রোতা জানতে চান । তারপর কি হল ? আপনি কি বোয়ালটাকে তুললেন ?
-- না আর তোলা হল কই ? পুঁটিমাছটাই যে বঁড়শি থেকে ছেড়ে গেল !


মেছুড়ের বাড়িতে অনেকদিন বাদে বন্ধু এসেছেন । ড্রয়িংরুমে দেখেন কাচের বাক্সে বড় একটা মাছ স্টাফ করে সাজিয়ে রাখা আছে । ব্যাপারটা কি জানতে চাইলে মেছুড়ে বললেন :
-- গতবার মাছ ধরতে গিয়ে এটা পেয়েছিলাম । একা একটা ডিঙি নিয়ে বেরিয়েছিলাম । মাছটা টোপ গেলার পর কয়েক ঘন্টা আমার তো নাকানিচোবানি অবস্থা । ডিঙি সামলাই না মাছ সামলাই ! ডিঙি প্রায় উল্টে যায় এমন অবস্থা ! আর তুমি তো জানোই আমি সাঁতার জানি না । সে এক জীবন-মরন অবস্থা ! হয় মাছ, না হয় আমি - যে কোন একজন বাঁচবে !
-- তবে, বন্ধু উত্তর দিলেন, ডেকরেশনের দিক থেকে মাছটাই ভালো বলে আমার মনে হয় !


মাছ ধরার নেশায় না কি সব কিছু ভুলিয়ে দেয় । কিন্তু বিয়ের কথা যে ভোলে না, নীচের গল্পটা তার প্রমান ।
এক প্রৌঢ় এবং এক যুবক মাছ ধরতে বেরিয়েছে । সেদিন সত্যিই তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল । প্রচুর মাছ ধরে তারা দিনের শেষে যখন বাড়ি ফিরছে, তখন প্রৌঢ় বললেন :
-- দিনটা দারুণ ছিল ! কি বল ?
-- যা বলেছেন ! এত বড় বড় মাছ কখনও তুলিনি ! যুবকের উত্তর ।
-- তাহলে আগামী কাল সকালে ফের আসব ! কী হে রাজি আছ তো ?
-- আগামীকাল ? আগামীকাল যে আমার বিয়ে ! থাকগে, বিয়েটা না হয় একদিন পিছিয়ে দেব ! -- যুবকের ঘোষণা ।


চার মহিলা ব্রীজ খেলছেন । ম্যান্টেলপিসের উপর স্টাফ করা বিশাল হাঙরটা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করছিল । গৃহকত্রী বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন :
-- আমি এবং আমার স্বামী গভীর সমুদ্রে এই হাঙরটাকে ধরেছিলাম ।
-- কিন্তু হাঙরটাকে বেশ মোটা লাগছে । ওটার পেটের ভেতর কী পোরা আছে ?
-- আমার স্বামী !


নদীর ধারে তাঁবু গেড়ে দুজন মাছ ধরছেন । ফিশিং ইন্সপেক্টর যথারীতি হাজির ।
-- এই ছিপটা কার আমি জানতে চাই । -- ইন্সপেক্টর গম্ভীর গলায় বলেন ।
-- আমার ।
-- আপনি কি জানেন না, এখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ?
-- জানি বই কি ! তবে, সত্যি কথাই বলি, আমরা কিন্তু মাছ ধরছি না । আমরা একটা সুতোয় বিয়ারের বোতল বেঁধে সেটাকে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি মাত্র ! যাতে বিয়ারটা ঠান্ডা হয় । বুঝেছেন তো ?
-- হুম ! ইন্সপেক্টরের গম্ভীর মুখ গম্ভীরতর হয় । আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতায় কখনও কোনও বিয়ারের বোতল দেখিনি যেটা কিনা বৃত্তাকার ঘোরে আর মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য জলের ওপর ভেসে ওঠে !


আচ্ছা জিম, যে বিশাল মাছটা তোমার সুতো ছিঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, সেটা ঠিক কত বড় ছিল ?
-- সে তো ভাই বলতে পারব না ? এটুকু জানি, আমার হুইলে ৫০ গজ নতুন সুতো ছিল । ব্রিমটা টোপ গিলেই উজানে ছুটল । হুইলের সুতোও শেষ হল, আর আমি দেখলাম ব্রিমটার ল্যাজ তখনও নৌকার ধার দিয়ে চলেছে ।


দুটো গোল্ডফিশ ঝকঝকে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে সাঁতার কাটছে । হঠাৎ একটি আরেকটিকে প্রশ্ন করে :
-- আচ্ছা আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ?
দ্বিতীয় গোল্ডফিশটি সামনের পাখনাদুটো মাথায় ঠেকিয়ে উত্তর দেয় :
-- বলেন কি মশাই ? ঈশ্বরে বিশ্বাস করব না ? অবশ্যই করি । দিনে দুবার আমাদের এ ঘরের জল পালটে দেন কে তাহলে ?


অনেকক্ষন পাশে দাঁড়িয়ে অন্যের মাছ ধরা দেখছেন এক ভদ্রলোক । মাঝে মাঝে ফুট কাটছেন । মৎস্যশিকারীর মেজাজও স্ফূটনাঙ্কের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে । এক সময় দর্শক ভদ্রলোক প্রশ্ন করেন :
-- আচ্ছা আজ কি মাছ ঠোকরাচ্ছে না ?
ক্রুদ্ধ মৎস্যশিকারী উত্তর দিলেন :
-- জানি না মশাই ! আর যদি ঠুকরেও থাকেও তারা একে অন্যকে ঠোকরাচ্ছে !


ছোট্ট বাপন তার মাকে জিজ্ঞেস করে :
-- আচ্ছা মা, সব গল্পই কি শুরু হয় এক যে ছিল রাজা দিয়ে ?
মা বলেন :
-- না বাবা । কখনও কখনও তার শুরুটা হয় এরকম : সে মাছটা ছিল কম সে কম দশ ফুট লম্বা, লেজটা ধরলে আরও............!
Read More »

0 কৌতুক

9:21 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
লিখেছেন : তুষার আহাসান (১)

মন্ত্রী বেওয়া প্রসাদ একদিন দেখলেন, কে যেন তাঁর দরজায় লিখে রেখেছে"গাধা"।
প্রচন্ড রেগে তিনি সিকিউরিটি অফিসারকে বললেনঃ খুঁজে বের কর, কে এই কীর্তি করেছে।
সিকিউরিটি অফিসার তদন্ত করে একসময় ফিরে এসে বললেনঃস্যার একটা খারাপ খবর আর
একটা খুব খারাপ খবর আছে।
মন্ত্রীঃ খারাপ খবরটা আগে বলো।
সিকিউরিটি অফিসারঃযে পেন দিয়ে লেখা হয়েছে সেটা আপনার প্রতিদ্বদন্দ্বী সধবা প্রসাদের।
মন্ত্রীঃ জানোয়ার একটা, শয়তান। ঠিক আছে, এবার খুব খারাপ খবরটা বলো।
সিকিউরিটি অফিসারঃহাতের লেখাটা আপনার স্ত্রীর।
(২)
রামবাবু একটা ঘোড়া কিনেছেন।
রোজ সকালে তিনি সেটাকে ট্রেনিং দেন।
একজন প্রতিবেশী তাঁকে বললেনঃআপনি ঘোড়াটাকে ট্রেনিং দেন কেন?
রামবাবুঃ আরে ট্রেনিং না দিলে নিজের ছেলেই গাধা হয়ে যায়, তা এতো পরের ছেলে।
(৩)
তিন বছর আগে আমার ক্যামেরায় তোলা একটা ফটো।


Read More »

0 “অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুৎসিত!!”

8:54 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
লাথি মার ভাঙরে তালা, যতসব বন্দীশালা, আগুন জ্বালা।

> অশিক্ষিত মাঃ খোকন, এত বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছ?
> খোকাঃ মা, এ তো আমার কথা নয়, নজরুলের কথা।
> মাঃ তাহলে আর কখনো ওসব বাজে ছেলের সঙ্গে মিশবে না।
----------------------------------------------------------১
টিনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুৎসিত!’
টিনা চটে গেলেও কিছু বললো না, পাখির কথায় কী আসে যায়?
পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুৎসিত!’
টিনা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো।
তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুচ্ছিত!’
এবার টিনা মহা চটে দোকানের ম্যানেজারকে হুমকি দিলো, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাফ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না।
তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, ‘অ্যাই আপু!’
টিনা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, ‘কী?’
পাখিটা বললো, ‘বুঝতেই তো পারছেন।’
--------------------------------------------------------------২
Read More »

0 নরক সত্যিই আছে!!!

8:52 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
শিক্ষাগত যোগ্যতা
নিয়োগকর্তা - আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা?
আবেদনকারী- আজ্ঞে এফ, এস, সি স্যার।
নিয়োগকর্তা - বাহ ভাল তারপর বলুন এই যে আপনাকেই বলছি , আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি?
অপর আবেদনকারী (পুত্র) - আজ্ঞে বি এস, সি , স্যার
নিয়োগকর্তা- বেশ খুশি হলাম । তা আপনার? হ্যা আমি এই ম্যাডামকে বলছি। আপনার কোয়ালিফিকেশন জানতে চাইছি ।
মহিলা আবেদনকারী (মা) - আজ্ঞে এম, এস,সি।
নিয়োগকর্তা- বাহ । আপনারা দেখছি সবাই অনেক শিক্ষিত!


স্যার আপনি বোধ হয় একটু ভুল করছেন।
নিয়োগকর্তা - কেন? কেন ?
মহিলা- আজ্ঞে এম, এস, সি মানে মাদার অব সেভেন চিলড্রেন।
পুরুষ- আজ্ঞে আমি ফাদার অব সেভেন চিলড্রেন ।
ছেলে- আমি ব্রাদার অব সিক্স চিলড্রেন ।
Read More »

0 কৌতুক

8:51 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
শিক্ষক ক্লাসের সবাইকে একটি ক্রিকেট ম্যাচের উপর রচনা লিখতে বললেন। একজন ছাত্র ছাড়া সবাই রচনা লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
আর সেই ছাত্র লিখলঃ “বৃষ্টির কারনে কোন ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি!!”
------------------------------------------------------------------


নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এলেন। নিজের গার্ডগুলো পরীক্ষা করে দেখলেন। একটু নড়েচড়ে শরীরটাকে চাঙা করে নিলেন। চারদিকে ফিল্ডারদের অবস্থানটাও একনজর ঘুরে দেখলেন। এরপর শূন্যে কয়েকবার ব্যাট হাঁকিয়ে আম্পায়ারকে জানালেন, সে তৈরি। আম্পায়ার বোলারকে বল করতে অনুমতি দিলেন। বোলার বলও করলেন এবং সোজা মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেল। তখন পেছন থেকে উইকেট কিপার বললেন, ‘কী লজ্জা! এত ভাব দেখানোর পর মাত্র এক বলেই স্ট্যাম্প উড়ে গেল।’ ব্যাটসম্যান তখন বললেন, ‘লজ্জা তোমাদেরই পাওয়া উচিত। একজন নতুন অতিথির সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটা তোমাদের বোলার এখনো শেখেনি।’
---------------------------------------------------------------------


নেটে অনুশীলনের সময় কোচ দেখলেন, কোনো ব্যাটসম্যানই ফাস্ট বোলারদের বলে ব্যাট করতে পারছেন না। তাঁর মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। ক্ষেপে গিয়ে তিনি নিজেই ব্যাট হাতে নিয়ে বোলারদের বল করতে বললেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি নিজেও একটা বলও খেলতে পারলেন না। এরপর তিনি ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশে চেঁচিয়ে বললেন,‘ঠিক এভাবেই তোমরা ব্যাট করছিলে। এবার যাও আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করো। ’
-----------------------------------------------------------------------
Read More »

Tuesday, November 3, 2009

0 গোপাল ভাঁড় - গাধা আর রাজা

11:21 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
রাজা গোপাল ভাড় কে প্রশ্ন করল,গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু?
গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল,বেশি না ,মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান
--------------------------------------------------------------------------------
গোপাল ভাড়েঁর পড়শীর সাথে সংগত কারনেই ভাল সম্পর্ক নেই। সবসময় বিবাদ বিসংবাদ লেগেই থাকে। তাই এদের মধ্যে যোগাযোগ একরকম বন্ধই। এরই মধ্যে একদিন দেখা গেল পাশের বাড়ীতে মহাধুমধামে ভোজের আয়োজন চলছে। শত শত অতিথি আসছে - চমৎকার খাবারের বাসনা গোপালের বাড়ীতে ঢুকছে। গোপাল ভাড়ঁ কৌতুহলী হয়ে খবর নিয়ে জানলো - ঐ বাড়ীর একটা ছেলে মারা গেছে - যারা শ্রাদ্ধানুষ্টান চলছে। গোপাল তাকে নিমন্ত্রন না করায় খুবই মনঃক্ষুন্ন হলো। ভাবতে লাগলো কিভাবে এর জবাব দেওয়া যায়।
ভাবতে ভাবতে অবশেষে নিজের ছোট ছেলেকে টেনে ছাদে নিয়ে গিয়ে পাশে বাড়ীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলা শুরু করলো - "এই দেখ, আমারও ছেলে আছে, এই ছেলে মারা গেলে বিরাট শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হবে। তখন তোমাদের দাওয়া দেবো না, বলে রাখলাম কিন্তু"।
--------------------------------------------------------------------------------
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, �বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?�
গদগদ হয়ে গোপাল বলে, �আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়ই আসতেন!�
--------------------------------------------------------------------------------
গোপালের তামাকপ্রীতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মোটেই পছন্দ করতেন না।একদিন গোপালকে সঙ্গে নিয়ে পালকিতে কোথাও যাচ্ছেন, দেখেন তামাক ক্ষেতে এক গাধা চড়ে বেড়াচ্ছে।সেই গাধা ক্ষেতের আগাছা খাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তামাক পাতায় ভুলেও মুখ দিচ্ছে না।
সুযোগ পেয়ে রাজা বলেন, �দেখেছো হে গোপাল, একটা গাধাও তামাক খায় না!�
শুনে গোপাল বলে, �আজ্ঞে রাজা মশাই, তা যা বলেছেন।কেবল গাধারাই তামাক খায় না।�
--------------------------------------------------------------------------------
গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।
--------------------------------------------------------------------------------
একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না।সে গোপালের সামনে এসে বলল, �ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?�
গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল।
টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল।কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, �ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।�
বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, �তোমার বয়স কত?�
� আজ্ঞে আঠারো ।�
�আমার বয়স পঞ্চান্ন।�
�তাতে কি হল?�
�এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবারর্ সুযোগ পাব।�
--------------------------------------------------------------------------------
এক পন্ডিতের মাথায় তিলকের ঘটা দেখে গোপাল খুব আমোদ পেয়ে জিজ্ঞেস করেছে, �ওহে পন্ডিত, কপালে এতো সব কি এঁকেছো?�
পন্ডিত একগাল হেসে বলে, �আজ্ঞে, ফোঁটা কাটুচি!�
গোপাল উদাত্ত গলায় ফের শুধায়, �ফোঁটা কাটুচি, না কাগে হাগুচি?�
--------------------------------------------------------------------------------
রাজা গোপাল ভাঁড় কে প্রশ্ন করল, গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু? গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল, বেশি না, মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান।
--------------------------------------------------------------------------------
গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।
--------------------------------------------------------------------------------
গোপালকে বলছেন রামবাবু, �এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত।তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?�
�আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে আর কক্ষনো দেখিনি!
� গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।
--------------------------------------------------------------------------------
গোপাল ভাঁড় হাসতে হাসতে মইরা গেল...
--------------------------------------------------------------------------------
Read More »

0 সর্দারজি - ৪

11:16 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
দুই সর্দারজি তাঁদের বাবাদের কাজকর্ম নিয়ে তর্কবিতর্ক করছেন�


প্রথম সর্দারজি: তুমি কখনো সুয়েজ খালের কথা শুনেছ?
দ্বিতীয় সর্দারজি: শুনব না আবার! এটা তো ছোট্ট বাচ্চাও জানে।
প্রথম সর্দারজি: হুম�এই খাল পুরোটাই আমার বাবা খনন করেছিলেন।
দ্বিতীয় সর্দারজি: চাপাবাজি ছাড়ো, এটা কখনো হতেই পারে না। কিন্তু তুমি কি ডেড সির কথা জানো?
প্রথম সর্দারজি: কেন, কী হয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এত কিছু জানো, আর এটাই জানো না। আমার বাবাই তো ওটাকে মেরে ফেলেছিলেন।
-------------------------------------------------------------------
একবার এক রেস্তোরাঁয় সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু কফি খেতে ঢুকেছেন। তাঁরা গল্প করতে করতে কফি খাচ্ছেন। হুট করে মূল্যতালিকার দিকে চোখ পড়তেই সর্দারজি তাঁর বন্ধুকে বললেন, �আরে ভাই, কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি কফি শেষ করো; নইলে এই এক কাপ কফির জন্য আবার দ্বিগুণ দাম গুনতে হবে।
� বন্ধুটি বলে বসলেন, �মগের মুল্লুক নাকি, এক কাপ কফি খেয়ে দুই কাপের দাম দেব!
� সর্দারজি বললেন, �আরে বোকা, বেশি বকবক না করে মূল্যতালিকার দিকে তাকাও।
এক কাপ হট কফির দাম ১০ টাকা, আর কোল্ড কফির দাম ২০ টাকা। কফি ঠান্ডা হয়ে গেলে তো মহা ঝামেলায় পড়ব।�
---------------------------------------------------------------------
পঞ্চান্ন প্যাঁচাল
সর্দারজী শিক্ষকের কাছে অঙ্ক শিখতে গেছে।
সর্দারজীঃ স্যার, আমি পঞ্চান্ন কিভাবে লিখব?
শিক্ষকঃ দুইটা পাঁচ পাশাপাশি লিখলেই পঞ্চান্ন হয়।
খানিক পর শিক্ষক দেখলেন, সর্দারজী একটা পাঁচ লিখে বসে মাথা চুলকাচ্ছে।
শিক্ষকঃ কী হলো, সর্দারজী?
সর্দারজীঃ মস্ত বিপদে পড়েছি। আরেকটা পাঁচ কোন পাশে বসাবো বুঝতে পারছি না।
------------------------------------------------------------
আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে
একবার এক ট্র্যাফিক পুলিশ দেখে কী একটা অদ্ভুত জন্তুর পিঠে এক সর্দারজী বইসা মনের সুখে হেইলা দুইলা আইতেছে । পুলিশের কাছে আইসা সর্দারজী কয়, ওস্তাদ, এই জানোয়ারের জাত কী মামা?
এইটারে কয় জলহস্তী, তুমি এইটার পিঠে চড়লা ক্যামনে?
জলহস্তী? আমি ভাবছি এইটা বোধহয় স্থল-মহিষ । বাচপান কালে কতো চড়াইসি বাপের বাথানে! আমি হের নাম দিসি কাল্লু !
তুমি শিগগির এইটারে চিড়িয়াখানায় রাইখা আসো । নাইলে খবর আছে!
ঠিক হ্যায়, ওস্তাদ । অ্যাই কাল্লু! হ্যাট ! হ্যাট হ্যাট! চল্, চিড়িয়াখানায় যাই!
পরের দিন সেই পুলিশ দেখে ঠিক সেই সর্দারজী, ঠিক সেই কাল্লু থুক্কু জলহস্তীর পিঠে মহা আয়েশ কইরা আসতেছে ।
সর্দারের পো! তোমারে না গতকাল কইছি জানোয়ারটারে নিয়া চিড়িয়াখানায় যাইতে?
গেছিলাম তো ! কাল্লুর খুব পছন্দ হইছিল । আইজ যাইতেছি ওয়াটার কিংডমে ! অ্যাই কাল্লু! হ্যাট! হ্যাট! হ্যাট!
------------------------------------------------------------------------
চার সর্দারজীর গল্প
তারা সিদ্ধান্ত নিল একসঙ্গে ব্যবসা করবে। কী ব্যবসা করা যায়? অনেক ভেবে তারা একটি মোটর গ্যারেজ দিল। কিন্তু এক মাস চলে গেল, কোনো কাজ নেই। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ তারা গ্যারেজটা দিয়েছে ছয় তলায়। মানুষ কি গাড়ি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠবে?
এরপর তারা এ ব্যবসা বাদ দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা চিন্তা করল। তারা একটি ট্যাক্সিক্যাব কিনে রাস্তায় নামাল। দিন যায় কিন্তু কোনো যাত্রী ওঠে না। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ, তারা চারজনই গাড়িতে উঠে বসে থাকে। যাত্রী বসবে কোথায়?
চারজনই মহা উত্তেজিত। তারা ঠিক করল, এই গাড়ি সমুদ্রে ফেলে দেবে। গাড়ি নিয়ে যাওয়া হলো সমুদ্রপারে। গাড়ি ঠেলছে কিন্তু কিছুতেই ফেলতে পারছে না। কেন বলুন তো?
কেন?
কারণ, দুজন ঠেলছে পেছন থেকে, দুজন সামনে থেকে।
-----------------------------------------------------------------------
বান্তা সিং একবার লটারির টিকিট কিনে জিতেছে। নির্দিষ্ট দিনে পুরস্কারের টাকা নিতে লটারি অফিসে গেল সে। লটারি অফিসের স্মার্ট কর্মকর্তাটি খুব বিনীতভাবে বান্তা সিংকে বুঝিয়ে বললেন, �আপনি এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। তো এবার আমাদের নিয়মানুযায়ী সরকারের ট্যাক্স পরিশোধ করে আপনাকে পুরো টাকাটা নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আপনাকে ৫০ লাখ টাকা দিচ্ছি। এ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করে ছাড়পত্র এনে দেখালেই আমরা বাকি টাকা আপনাকে দিয়ে দেব।�
বান্তা : না, আমি লটারি জিতেছি। কাজেই টাকাটা এখন আমার। আমি আমার সব টাকা এখনই চাই। লটারি অফিসের অফিসারটি এবার আরও বিনীতভাবে বান্তা সিংকে পুরো ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললেন।
কিন্তু বান্তা সিং এটা মানতেই নারাজ। এরপর অফিসারটি আবার বোঝানোর চেষ্টা করতেই বান্তা সিং রেগে চিৎকার করে বলল, �দ্যাখো আমাকে আর বেশি বোঝানোর প্রয়োজন নেই। আমার পুরো এক কোটি টাকা আমি এখনই চাই। আর তা যদি না দাও তাহলে এ নাও তোমাদের টিকিট। আমাকে টিকিটের দশ টাকা ফেরত দাও।�
-----------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন : কোন সরদারকে কিভাবে ভড়কে দেয়া যায়?
উত্তর : তাকে বৃত্তের কোণ (angle) খুঁজে বের করতে বলে।
প্রশ্ন : সে কিভাবে আমাদের ভড়কে দিতে পারে?
উত্তর : ওই বৃত্তের কোণ বের করে।
-----------------------------------------------------------------
Read More »

0 হোজ্জা নাসিরুদ্দীন

11:09 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
একদা শিষ্যদের নিয়ে মেলায় গেলেন হোজ্জা। এক জায়গায় দেখতে পেলেন তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। খেলায় অংশগ্রহণ করে প্রথম তীরটি নিক্ষেপ করলেন হোজ্জা। কিন্তু তীর গিয়ে পড়ল মাত্র কয়েক হাত দূরে। সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে দেখে হোজ্জা বললেন, "আসলে এমনটি ঘটে সে মানুষের ক্ষেত্রে যে নিজেকে সবসময় ছোট ভাবে।"


"আর এমনটি ঘটে..." তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা। নির্ধারিত জায়গার উপর দিয়ে বেশ দূরে গিয়ে পড়ে তীরটি এবার, আবারও হাসতে থাকে জনতা। "..এমনটি ঘটে যে মানুষ উদ্ধত আত্মবিশ্বাসে ভুগে, তার ক্ষেত্রে।"
"আর এ হচ্ছে..."আবারও তীর নিক্ষেপ করেন হোজ্জা, ঠিক জায়গামত বিদ্ধ হয় এবার। হোজ্জা শান্ত গলায় বলেন, "এ হচ্ছে আমি।"
--------------------------------------------------------------------------------
হাটবারের দিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে জড়বুদ্ধির মতো আচরণ করতেন হোজ্জা, ফলে নির্বোধ ভেবে মানুষ তাকে মুদ্রা দান করত। কিন্তু তার সামনে দুটি মুদ্রা তুলে ধরা হলে, সর্বদাই তিনি ছোট মুদ্রাটি গ্রহণ করতেন, যতবারই, যেভাবেই দেয়া হোক না কেন।
একদিন সদাশয় এক ব্যক্তি তাকে বললেন, "নাসিরুদ্দীন, তুমি তো বড় মুদ্রাটা নিতে পার। এতে তোমার দ্রুত বেশ কিছু টাকা-পয়সা জমে যাবে আর মানুষও আগের মতো তোমাকে নিয়ে তামাশা করতে পারবে না।"
"হুমম, আপনি যা বলছেন তা হয়তো ঠিক হতে পারে। কিন্তু আমি ভাবছি, আমি যদি সবসময় বড় মুদ্রাটা গ্রহণ করি, তাহলে মানুষ আমাকে তাদের চেয়েও নির্বোধ ভেবে যে আনন্দটা পায়, সে আনন্দটা আর পাবে না, ফলে দান হয়তো একেবারেই বন্ধ করে দিবে।" হোজ্জা জবাব দেন।
--------------------------------------------------------------------------------
"আমি যখন মরুভূমিতে ছিলাম," এক স্মৃতিচারণায় বললেন হোজ্জা, "তখন রক্তলোলুপ, নৃশংস একদল বেদুইনকে দৌঁড়িয়েছিলাম।"


"খালি হাতে!" বিস্ময়ে প্রশ্ন করে দর্শক।
"হ্যাঁ, কেবল ছোট একটা লাঠি ছিল আমার হাতে।"
"কিন্তু এ কীভাবে সম্ভব, হোজ্জা!"
"খুবই সহজ। আমি ঝড়ের বেগে দৌঁড়াচ্ছিলাম, আর তারাও আমার পেছন পেছন দৌঁড়াচ্ছিল।"
--------------------------------------------------------------------------------
গোধূলি বেলায় নির্জন মরুপথে একাকি হাঁটতে হাঁটতে হোজ্জা দেখলেন ধূলিঝড় উঠিয়ে একদল ঘোড়সওয়ার আসছে তার দিকে। চিন্তার ঝড় খেলতে লাগল তাঁর মনে, কল্পনায় তিনি নিজেকে দেখতে লাগলেন বন্দী, ডাকাতির শিকার কিংবা নিহত অবস্থায়। উৎকণ্ঠায় হৃদপিণ্ড তাঁর গলায় উঠে আসার উপক্রম হলো। দ্রুত এক কবরস্থানের দেয়ালে বেয়ে অন্যপাশে চলে গেলেন তিনি, তারপর খোলা এক কবরে মরার মতো পড়ে রইলেন।
তার এই অদ্ভুত ব্যবহার লক্ষ করল ঘোড়সওয়ারগণ এবং অনুসরণ করে তার কাছে এসে পড়ল। হোজ্জা তখন ভয়ে কাঁপছেন।
"এই কবরে আপনি কী করছেন? আমরা দেখলাম আপনি দৌঁড়ে চলে গেলেন। আমরা কি কোনো সাহায্য করতে পারি আপনার?" কোমল গলায় দলনেতা জানতে চান।
"আপনি একটি প্রশ্ন করেছেন, তার মানে এই নয় যে এর সরল-সোজা কোনো উত্তর আছে।" বিপদ কেটে গেছে বুঝতে পেরে হোজ্জা বলতে লাগলেন। " আসলে ব্যাপারটি নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। আর যদি সত্যি সত্যি জানতে চান, তাহলে বলি, আমি এখানে এসেছি আপনাদের কারণে, আর আপনারা এখানে এসেছেন আমার কারণে।"
--------------------------------------------------------------------------------
কাজী থাকাকালীন একদা নিজের কক্ষে বসে কাজ করছেন হোজ্জা। এমন সময় এক প্রতিবেশি এসে বললেন, "আচ্ছা, হোজ্জা, একজনের গরু যদি আরেকজনের গরু মেরে ফেলে, এর বিধান কী? প্রথম গরুর মালিক কি এতে দায়ী হবে?"
"এটা আসলে নির্ভর করে...।"
"আচ্ছা, তাহলে খুলেই বলি, আপনার গরুটা আমার একটা গরুকে মেরে ফেলেছে।"
"ওহ! সবাই জানে একটা গরু কখনো মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে না, তাই গরুর কোনো বিচার হতে পারে না, আর এর মানে হচ্ছে, গরুর মালিকও দায়ী হতে পারেন না।"
"আমি আসলে একটা ভুল করেছি, হোজ্জা। আমি বলতে চাচ্ছিলাম আমার গরুটা আপনার গরুকে মেরে ফেলেছে।"
নাসিরুদ্দীন কয়েক মুহূর্ত চিন্তা করেন। তারপর বলেন, "একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলাম, বিষয়টা আসলে প্রথমে যেরকম ভেবেছিলাম, অতটা সহজ নয়।"
তারপর কেরাণীর দিকে ফিরে নির্দেশ দিলেন, "তোমার পেছনে বইয়ের তাক থেকে মোটা বইটা পেড়ে নিয়ে আস তো।"
--------------------------------------------------------------------------------
একদিন হোজ্জা তার প্রিয় গাধার পিঠে লবণ বোঝাই করে বাজারের দিকে রওনা দিলেন। পথে একটা নদী পড়ল।গাধাসহ নদী পার হলেন।কিন্তু নদীর পানিতে লবণ গলে একাকার।পণ্য হারিয়ে হোজ্জা বিরক্ত।গাধা তো মহা খুশি বোঝা থেকে বেঁচে গিয়ে।


এর পরেরবারও হোজ্জা ওই পথ দিয়ে গেলেন, তবে এবার তুলা বোঝাই করে।গাধা যখন নদী পার হলো তখন তুলা ভিজে ওজন বেড়ে গেল।গাধা ওজনদার মাল নিয়ে টলমল পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল।
হাহ্! হোজ্জা চেঁচিয়ে বললেন, কেমন জব্দ! ভেবেছিলি প্রতিবার পানি দিয়ে গেলে পিঠের ওপরের মালের ওজন কমে যাবে, তাই না?
--------------------------------------------------------------------------------
হোজ্জাকে একদিন একজন রাস্তায় থামিয়ে জিজ্ঞেস করল, আজকে সপ্তাহের কোন দিন?
বলতে পারব না, জবাবে হোজ্জা বললেন, আমি এই এলাকায় নতুন।জানি না এখানকার মানুষেরা সপ্তাহের কোন দিনটি মেনে চলে।
--------------------------------------------------------------------------------
একদিন হোজ্জার স্ত্রী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসক ডাকতে বলেন।হোজ্জা তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।তিনি ছুটে গেলেন চিকিৎসক ডেকে আনার জন্য।কিন্তু রাস্তার দিকের জানালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী জানালা দিয়ে গলা বের করে চেঁচিয়ে বললেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ! ব্যথাটা চলে গেছে, চিকিৎসকের দরকার নেই।
হোজ্জা স্ত্রীর কথা শুনলেন এবং চিকিৎসকের বাড়ির দিকে দৌড়ে গেলেন।বললেন, ডাক্তার, আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ ছিল এবং আপনাকে ডেকে আনার জন্য বলেছিল।কিন্তু আপনাকে ডেকে আনতে বের হওয়ার সময় বলল সে সুস্থ বোধ করছে, আপনাকে ডাকার দরকার নেই।তাই আপনাকে পুরো ব্যাপারটা বলতে এলাম এই জন্য যে তাকে দেখতে আসতে হবে না।
--------------------------------------------------------------------------------
রাজার মেজাজ খারাপ।রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জা সামনে পড়ে গেলেন।
শিকারে যাওয়ার পথে হোজ্জার সামনে পড়ে যাওয়াটা আমার ভাগ্যের জন্য খারাপ, প্রহরীদের রাগত গলায় বললেন রাজা।আমার দিকে ওকে তাকাতে দিয়ো না-চাবুকপেটা করে ওকে পথ থেকে সরিয়ে দাও।
প্রহরীরা তা-ই করল।
শিকার কিন্তু ভালোই হলো।
রাজা হোজ্জাকে ডেকে পাঠালেন।
আমি সত্যি দুঃখিত, হোজ্জা।ভেবেছিলাম তুমি অশুভ।কিন্তু তুমি তা নও।
আপনি ভেবেছিলেন আমি অশুভ!হোজ্জা বললেন।আপনি আমাকে দেখার পর ভালো শিকার করেছেন।আর আমি আপনাকে দেখে চাবুকপেটা খেয়েছি।কে যে কার অশুভ, বুঝলাম না।
--------------------------------------------------------------------------------
বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা একটা গরু কিনল।কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো।প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে:
হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে
পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে যে গাধাটা মরে পরে আছে।প্রানপ্রিয় গাধার মৃত্যুতে দুঃখিত ও হতাশ হয়ে হোজ্জা বিরস বদনে আকাশের দিকে তাকায়ে বলল:
কোন অভিযোগ করবনা, খোদা, কিন্তু তুমি এতদিন ধরে সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু কোনটা গাধা এইটা চিনলানা!
--------------------------------------------------------------------------------
একবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জা অসুস্থ।নিজের গাধাটাকে খাওয়ানোর জন্য বিবিকে বললেন।হোজ্জার বিবি একটু ত্যাদড় টাইপের।সে গাধা কে খাবার দিতে অস্বীকার করল।দুজনের মধ্যে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া।তারপর একটা সমঝোতা হল, যে আগে কথা বলবে সে গাধাকে খাওয়াবে।হোজ্জা বাজিতে জেতার ব্যপারে ডিটারমাইন্ড ছিল।
সেইদিনই, হোজ্জার বিবি বাইরে গেছে, খালি বাসা দেখে একটা চোর ঘরে ঢুকল।হোজ্জা বাসায় ছিল, কিন্তু বাজিতে হেরে যাওয়ার ভয়ে চোরকে কিছু বলল না।চোর নির্বিঘ্নে ঘরের সব কিছু নিয়ে চলে গেল।হোজ্জার স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে যখন দেখল সব কিছু খালি, চিৎকার দিয়ে বলল, হায় আল্লা! কি হইছে?
হোজ্জা খুশিতে লাফিয়ে উঠল, আমি জিতছি বাজিতে, এখন তোমারেই গাধাকে খাওয়ান লাগবে।
--------------------------------------------------------------------------------
একদিন হোজ্জা বাজার থেকে কলিজা কিনে বাসায় যাচ্ছিলেন।এদিকে তাঁর এক বন্ধু তাঁকে কলিজার পাই বানানোর রেসিপি দিয়েছিলেন, যাতে বাসায় গিয়ে কলিজার পাই রান্না করতে পারেন।কিন্তু হঠাৎ একটি বাজপাখি উড়ে এসে কলিজা ছিনিয়ে নিয়ে একেবারে নাগালের বাইরে উড়ে চলে গেল।
বোকা কোথাকার!চেঁচিয়ে হোজ্জা বললেন, কলিজা নিয়ে গেছ ঠিক আছে, কিন্তু প্রস্তুত প্রণালী (রেসিপি )তো আমার কাছে!
--------------------------------------------------------------------------------
এক তুর্কির ষাঁড় হোজ্জার বাগানের বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তছনছ করে দিয়ে মালিকের কাছে ফিরে গেল।হোজ্জা পুরো ব্যাপারটা লক্ষ করলেন, তারপর একটা বেত নিয়ে বেরিয়ে এসে ষাঁড়টাকে পেটাতে শুরু করলেন।
কোন সাহসে আমার ষাঁড়কে আপনি পেটাচ্ছেন! তুর্কি চেঁচিয়ে বলল।
কিছু মনে করবেন না আপনি, হোজ্জা বললেন, ও পুরো ব্যাপারটা জানে।এটা ওর আর আমার ব্যাপার!
--------------------------------------------------------------------------------



Read More »

0 লজ্জা!

11:04 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
একদিন রাত্রে দুজনের পায়ের শব্দ পেয়ে নাসিরুদ্দীন ভয়ে একটা আলমারিতে ঢুকে লুকিয়ে রইল। লোক দুটো ছিল চোর। তারা বাক্সপ্যাটরা সবই খুলছে, সেই সঙ্গে আলমারিটাও খুলে দেখল তাতে মোল্লাসাহেব ঘাপটি মেরে বসে আছেন।
চোর : কী হল মোল্লাসাহেব, লুকিয়ে কেন?
মোল্লাসাহেব : লজ্জায়।
চোর : লজ্জায়?
মোল্লাসাহেব : হ্যাঁ, লজ্জায়। আমার বাড়িতে তোমাদের নেবার মতো কিছুই নেই, তাই লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না!
সংগ্রহে: মেহেদী, ক্লাশ নাইন, ২৩ তোপখানা রোড, ঢাকা।
Read More »

0 নাসিরুদ্দীন হোজ্জার থাপ্পড়

11:02 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
নাসিরুদ্দীন হোজ্জা ছিলেন বেশ চালাক চতুর। এমনকি বলা যায় ধূর্তও


সে খুবই হিসেবী। এবং খুবই সতর্ক। বাড়ীতে তার এক চাকর নতুন কাজে যোগ দিয়েছে। তাই তার মনে কেবলই ঘুরপাক খায় বেটাকে ঠিকঠাক মতো তালিম দিয়ে নিতে হবে। তা না হলে কী না কী ক্ষতি করে বসে। মানে ভুল-চুক আরকি।
তো একটা গ্লাস দিয়ে নাসিরুদ্দীন তার চাকরকে বললো, “এ্যাই শোন, ওটা কিন্তু কাঁচের। খুব দামী। ভেঙে যায়না যেনো। খুব সাবধান!”
কিন্তু সে এটা বলেও নিজেকে স্থির রাখতে পারছিলেন না। মনে খুঁতখুঁতি কখন ভেঙে ফেলে। এতোকিছু কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের চিন্তা। হঠাৎ করেই,
“এ্যাই শিগগীর এদিকে, গ্লাসটা দেতো!” (খুব সাবধানে নিজেই এগিয়ে গিয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়ে টেবিলে রাখলেন।)। এরপর চাকরকে কষে একটা চড়! :O
বললেন, “কাঁচের গ্লাস কোনোদিন ধরেছিস? খুব সাবধানে ধরতে হয় বুঝলি? দেখিস খুব সাবধান ভাঙেনা যেন” এটা বলে খুব সাবধানে গ্লাসটা চাকরের হাতে দিলেন। চাকরটি কাচুমাচু-অপ্রস্তুত-কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মতো কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি নিজেকে ঠিক করে নিলো। মনিবরা এমন করতেই পারে।
হোজ্জার বন্ধুরা এমন অবাক কাণ্ডে কিছু না বলে পারলো না। বললো, “সে কী হে হোজ্জা! এ কি করলে? গরীব ছেলেটা কাজ করতে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়াই ওকে মারলে যে!”
হোজ্জার উত্তর, “আরে ভাই, সেটাই তো সমস্যা। যদি ওটা ভেঙে ফেলে তাই আগেই সতর্ক করে দেয়া। ও যে গরীব ওকে তো জরিমানা করলে আমার ঠকা হবে।”
Read More »

0 কৌতুক

10:26 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]
সর্বনাম
বাংলা ব্যাকরণ পড়ানোর সময় শিক্ষক অন্যমনস্ক এক ছেলেকে বললেন, এই ছেলে, সর্বনাম পদের দুইটা উদাহরণ দাও তো।
ছেলেটি হচকচিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, ‘কে? আমি?’
শিক্ষক: গুড, হয়েছে। বসো।
সংগ্রহে: নাজমুল, রামপুরা, ঢাকা।
অদ্ভুত মোজা



রবিন একবার দুই পায়ে দুই রঙের মোজা পরে স্কুলে এলো। একপায়ে লাল, আরেক পায়ে নীল। তাই দেখে রাসেল বললো, ‘অদ্ভুত ব্যাপারতো!। এমন এক জোড়া মোজা পেলি কোথায়? এর আগে দুই রঙের জোড়া কখনো দেখিনি’ রবিন বললো, ‘আরে বাবা, আমি নিজেই জানতাম নাকি যে আমার এমন এক জোড়া মোজা আছে? আরো অদ্ভুত ব্যাপার কি জানিস, বাসায় এমন আরো এক জোড়া মোজা দেখে এসেছি!’
সংগ্রহে: সজল, খিঁলগাও, ঢাকা।
সোমনাথের মন্দির
স্কুল পরিদর্শনে এসে ক্লাস নাইনের রুমে ঢুকলেন পরিদর্শক। তখন ইতিহাস ক্লাস চলছিলো। ফার্স্ট বয়কে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বলোতো, সোমনাথের মন্দির কে ভেঙেছিলো?’
ফার্স্ট বয়: (ভয় পেয়ে) আমি ভাঙিনি স্যার, বিশ্বাস করেন, স্যার, আমি কোনোরকম ভাঙচুর করিনি! আমাকে মাফ করে দেন স্যার।
পরিদর্শক তখন ক্লাস টিচারের দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘কি বলে আপনার ছাত্র এসব উল্টা পাল্টা?’
শিক্ষক: উল্টা পাল্টা নয় স্যার। আমি ওকে সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। খুব ভালো ছেলে স্যার। মন্দির-মসজিদ ভাঙার মতো কোনো কাজ ও করতেই পারেনা।
পরিদর্শক রেগে গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এর একটা বিহিত করুন। আপনার সামনেই আপনার ছাত্র আর শিক্ষক মিলে এগুলো কি কথা বলছে?’
প্রধান শিক্ষক: আপনার হয়তো একটু ভুল হচ্ছে স্যার। আমি ইতিহাস শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সৎ ও সত্যবাদী মানুষ। আমার ছাত্র যদি মন্দির ভাঙতো, তাহলে তিনি সেটা নিশ্চয়ই বলতেন। তাছাড়া আমার ছাত্ররাও খুব ভালো স্যার, ওরা জানালার কাঁচ পর্যন্ত ভাঙেনা, আর আপনি বলছেন মন্দির ভাঙা। আপনি সত্যি সত্যি ভুল করছেন স্যার।
পরিদর্শক: !!??!!
সংগ্রহে: গাজী জাবীন, কলাবাগান, ঢাকা থেকে
আউট
ছোট্ট টোকন বাড়ির সবার সঙ্গে বসে ক্রিকেট খেলা দেখছে। এক একটা ব্যাটসম্যান আউট হয় আর সবাই আউট আউট বলে চিৎকার করে ওঠে। একটা সময় ও আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, আচ্ছা আপু, আউট কয় ধরণের?

আমি বললাম, ৬ ধরণের। বোল্ড আউট, ক্যাচ আউট, রান আউট, হিট উইকেট, স্ট্যাম্পড আর এলবিডব্লিউ। সঙ্গে সঙ্গে টোকন বলে উঠলো আচ্ছা আপু, তুমি নট আউটের কথাটা বললে না কেন?
সংগ্রহে: হৃদি, রাজারবাগ, ঢাকা।
রেলগাড়ি ভ্রমণ


একবার এক বোকা লোক ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছে তার বন্ধুর বাড়িতে। চট্টগ্রামে পৌঁছে ট্রেন থেকে নেমে বন্ধুকে দেখতে পেয়েই অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসলো সে।
‘জানিস, রেল কোম্পানি আমাকে এমন একটা সিট দিয়েছে, যেটা ট্রেন যেদিকে যায়, তার ঠিক উল্টোদিকে মুখ করা। এই পুরোটা সময় উল্টাদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার মাথা ধরে গেছে।’
বন্ধুটি বললো, ‘সে কি কথা, তোর বিপরীত দিকের ভদ্রলোককে অনুরোধ করে সিট বদল করে নিলেই তো হতো।’
বোকা লোকটি বললো, ‘আরে বাবা, সেই চেষ্টা কি আর করতাম না, বল? কিন্তু কিভাবে করবো, আমার উল্টা দিকের সিটে যে কোনো যাত্রীই ছিলো না।’
সংগ্রহে: সানি, উত্তরা, ঢাকা।
ভাগ্য ভালো


দু’জন মানুষ রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন। এমন সময় একটি ছেলে তাদের একজনের কাছে জানতে চাইলো- ‘আঙ্কেল, কয়টা বাজে?’
লোকটা কোনো কথা না বলে ছেলেটার গালে দিব্যি জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো। ছেলেটা তো রীতিমতো হতভম্ব! খুব অবাক হয়ে সে জানতে চাইলো- ‘আঙ্কেল আমাকে মারলেন কেন?’
তখন সঙ্গের ভদ্রলোকটি বললেন, ‘সপ্তাহে একদিন উনি মৌন থাকেন। মানে কোনো কথা বলেন না, যা করার সবকিছু হাতেই দেখিয়ে দেন।
আজকে সেই বিশেষ দিনটি, একটা চড় মারার মানে হচ্ছে, এখন বাজে একটা।’ ছেলেটা তখন বললো, ‘বড়ো বাঁচা বেঁচে গেলাম! ভাগ্যটা বড়ই ভালো, ভাগ্যিস আরো ১ ঘন্টা আগে সময়টা জানতে চাইনি!
সংগ্রহে: জাহান সুলতানা, মালিবাগ, ঢাকা।
রিকসাওয়ালা


রন্টু: এই রিকসা ওয়ালা যাবে?
রিকসাওয়ালা: হ্যাঁ যাবো।
রন্টু: তাহলে যাও, দাঁড়িয়ে আছো কেন?
সংগ্রহে: সাবিবর, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
ভিক্ষুক


ভিক্ষুক: আম্মা, কিছু চাল দিবেন?
গৃহকর্ত্রী: না, না, বাড়িতে চাল নেই।
ভিক্ষুক: তাহলে ২ টা টাকা দেন আম্মা।
গৃহকর্ত্রী: ১ টা টাকাও নেই।
ভিক্ষুক: তাহলে পুরনো কোনো জিনিস, ছেঁড়া-ফাটা জামা-জুতো...?
গৃহকর্ত্রী: বললাম তো, বাড়িতে কিছুই নেই।
ভিক্ষুক: তাহলে মা বাড়িতে বসে আছেন কি করতে? আমার মতো একটা থালা নিয়ে রাস্তায় নাইমা পড়েন।
সংগ্রহে: বিপাশা, মিরপুর-৬, ঢাকা।
শের শাহর �ঘোড়ার ডাক�


ইতিহাস শিক্ষক: তোমরা সবাই জানো, শের শাহ ‘ঘোড়ার ডাকের’ প্রচলন করেন।
ছাত্ররা (অবাক হয়ে): এর আগে কি তাহলে ঘোড়া ডাকতে পারতো না, স্যার?
সংগ্রহে: নাফিস, পূর্ব মণিপুর, মিরপুর, ঢাকা।
আমেরিকা কোথায়?


শিক্ষক: রনি, এই ম্যাপে দেখাও তো দেখি আমেরিকা কোথায়?
রনি গিয়ে দেখিয়ে আসার পর
শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার জনি বলতো, আমেরিকা কে আবিস্কার করেছেন?
জনি: রনি, স্যার।
সংগ্রহে: নাফিস, পূর্ব মণিপুর, মিরপুর, ঢাকা।
উভচর


শিক্ষক: বলোতো মন্টু, উভচর কাকে বলে?
মন্টু: যা জলে ও স্থলে উভয় জায়গায় চলতে পারে, তাকে বলে উভচর।
শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার রন্টু একটা উভচর প্রাণীর উদাহরণ দাওতো।
রন্টু: হাঁস, স্যার।
সংগ্রহে: সৌম্য, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
লেজ


এক বাচ্চা জীবনে প্রথমবারের মতো সাপ দেখে ওর মাকে ডাকছে, ‘মা, মা, দেখো; এখানে একটা লেজ নড়াচড়া করছে। কিন্তু কুকুরটা নেই!
সংগ্রহে: শাওন, চানখারপুল, ঢাকা।
বৃষ্টি!


এক বৃষ্টির দিনে একজন লোক তার কাজের ছেলেটাকে ডেকে বলছে-
মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা।
কাজের ছেলেটা : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে!
মালিক : ঠিক আছে, বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা।
সংগ্রহে: মাহবুব, চতুর্থ শ্রেণী।
রাস্তা


১ম ব্যক্তি- ভাই, এই রাস্তাটা কোথায় গেছে?
২য় ব্যক্তি- কেনো! কোথাও যায়নি তো! ২০ বছর ধরে দেখছি এখানেই আছে।
সংগ্রহে: আবরার শাহরিয়ার, ৬ষ্ঠ শ্রেণী, বিএন স্কুল, চট্টগ্রাম।
শুধু 'ল' পড়লেই হবে


একদিন আমার এক বড় ভাই আমাকে বল্লেন- শোন, তুই তো উকিল হবি, তাই না! আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বল্লাম। বড় ভাই এবার বল্লেন, ঠিক আছে, তোর তাহলে আর কষ্ট করে অ, আ, ক, খ... এইসব কিছু পড়ারই দরকার নেই! আমি অবাক হয়ে বল্লাম কেনো! বড় ভাই বল্লেন, তুই তো উকিল হবি, তোর তো শুধু ‘ল’ পড়লেই চলে!”
সংগ্রহে: সানজিদা তারান্নুম অথৈ, শ্রেণী- নার্সারি, আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট পাবলিক স্কুল।
চিঠি লেখা!
এক পাগল খুব মনোযোগ দিয়ে চিঠি লিখছে। তো সেসময় আরেকজন এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘চিঠি লেখ? কাকে!’। পাগল বলল,“নিজেকেই লিখি।” তখন লোকটা আবার বলল,“নিজেকে কি লেখ?” পাগলটা বললো,“আরে!আগে তো চিঠিটা আমার কাছে আসুক, তারপর পড়ে দেখি, তারপর না জানাব! পাগল নাকি!”
সংগ্রহে: মুহম্মদ ইমরান হোসাইন, কল্যাণপুর, ঢাকা।
জ্ঞানী লোক


রসায়ন-এর ব্যবহারিক ক্লাস চলছে-
শিক্ষক : আমি এই দ্রবণ প্রস্তুত করেছি এবং এই পাত্রে আমি আমার সোনার আংটিটা ডুবিয়ে দিলাম। এখন বল তো আংটিটা দ্রবণে গলবে, নাকি গলবে না?
ছাত্র : গলবে না স্যার?
শিড়্গক : গুড! ভেরি গুড! আচ্ছা বলতো কেন গলবে না?
ছাত্র : স্যার আপনি জ্ঞানী লোক, এই দ্রবণে যদি সোনার আংটি গলে যেত, তবে আপনি নিশ্চয় জেনেশুনে এই পাত্রে আপনার সোনার আংটিটি ডুবাতেন না।
সংগ্রহে: মেহেদী,নবম শ্রেণী, ২৩ তোপখানা রোড, ঢাকা।
টাক


ছাত্র তার স্যারকে জিজ্ঞেস করল, ‍‌স্যার আপনার মাথায় এত্ত বড় টাক কেন?
এই কথা শুনে স্যার তার চুল ধরে ইচ্ছেমত টেনে দিল। তখন ছাত্রটি বলল, স্যার এটা মুখে বললেই হত, শুধু প্রাকটিক্যাল দেখাতে গেলেন কেন?
সংগ্রহে: সাজ্জাদ জামান, পাবনা জেলা স্কুল, পাবনা।
মাছ


- তাহলে তোমরা তো বুঝতেই পারছো, যে প্রাণীটা পানির মধ্যে থাকে তাকে বলে মাছ। আসিফ, বলতো, পৃথিবীর মধ্যে সচে ছোট্ট মাছ কী?
- স্যার, জীবাণু।
সংগ্রহে: তোকি আহমেদ, হান্দায়ামা, হামামাৎসু, জাপান।
সাঁতার


এক যুবক নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ আপনি কি সাঁতার জানেন?
উত্তরদাতাঃ সাঁতার শেখার সুযোগ হয়ে উঠেনি, স্যার।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে কি ভেবে আপনি নৌবাহিনীর সাক্ষাৎকার দিতে এসেছেন?
উত্তরদাতাঃ মাফ করবেন, স্যার; তাহলে কি আমি মনে করব যে বিমানবাহিনীর আবেদনকারীরা উড়তে শেখার পর আসে।
সংগ্রহে: তালহা মোঃ আহসানুল হক, চতুর্থ শ্রেণী, কিংশুক পার্টিসিপেটরী স্কুল, ঢাকা
গরু


লোক- এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইছো, কিভাবে বুঝবো যে তুমি কানা?
ভিক্ষুক- এই যে দূরে একটা গরু দেখতাছেন, ওইটা আমি দেখতাছি না।
সংগ্রহে: রাসেল আকরাম খান, সুজানগর, পাবনা।
ওষুধ


এক ছেলে কিছুতেই ওষুধ খেতে চাইছে না। তার মা অনেক চেষ্টা করে শেষমেষ তাকে একটা মিষ্টি খেতে দিল। চালাকি করে মিষ্টির ভেতর ট্যাবলেটটা পুরে দিল।
একটুপর মা ফিরে এসে ছেলের কাছে জানতে চাইলো- ওষুধটা খেয়েছ?
ছেলে- হ্যা, মা। কিন্তু ভেতরের বিচিটা ফেলে দিয়েছি।
সংগ্রহে: ইফতি, জুবিলী হাই স্কুল, পটুয়াখালী।
শরীর ব্যথা


রোগীঃ ডাক্তার, আমার সারা শরীরে ব্যথা, যেখানেই আঙ্গুল লাগাই, সেখানেই ব্যথা করে। আমার মনে হয় পুরো শরীরের হাড় ভেঙ্গে গেছে।
ডাক্তারঃ উহু, আপনার আঙ্গুলটাই ভাঙ্গা।

নতুন চশমা


ডাক্তারঃ আপনার চশমার পাওয়ারটা বদলাতে হবে।
রোগীঃ আরে, আপনি আমার চোখ না দেখেই কিভাবে বুঝলেন?
ডাক্তারঃ কেননা আপনি দরজার বদলে জানালা দিয়ে ঢুকেছেন।
চোখের অসুখ


রোগী- ডাক্তার , ডাক্তার, আমার চোখ খারাপ হয়ে গেছে। আমাকে চশমা দিন। ওফ, আপনি বুঝতে পারছেন আমার অবস্থাটা!
লোকটিঃ হ্যা , খুবই অবস্থা খারাপ, কেননা এটা একটা মাংসের দোকান।
কলমের বদলে পেন্সিল


প্রথম ব্যক্তি : ডাক্তার সাহেব, তাড়াতাড়ি আসুন, আমার ছেলে আমার কলম গিলে ফেলেছে। হায়রে, এখন আমি কি করব?
ডাক্তার : আমি না আসা পর্যন্ত আপাতত একটা পেন্সিল ব্যবহার করুন।
সংগ্রহে: সৌগত সাদমান বর্ণ, চতুর্থ শ্রেণী, সারোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মিরপুর, ঢাকা
বাগানে বোমা


প্রথম ব্যাক্তি : পুলিশ অফিসার, তাড়াতাড়ি আসুন। আমার বাগানে একটা বোমা পড়ে আছে।
পুলিশ : কোন চিন্তা করবেন না। তিনদিনের মধ্যে যদি কেউ এই বোমার কোন দাবী না করে তাহলে আপনি ওটা রেখে দিতে পারেন।
সংগ্রহে: সোহাম জাকারিয়া, দশম শ্রেণী, বনানী, ঢাকা
বাবার নাম


শিক্ষক : তোমার বাবার নাম কী?
ছাত্র : ( কোন জবাব না দিয়ে চিন্তামগ্ন)।
শিক্ষক : কী হলো জবাব দাও!
ছাত্র : স্যার, এখনও তাকে আমরা কোন নাম দিইনি। তাকে আপাতত আমরা বাবা বলে ডাকি।
সংগ্রহে: মুনিরা মুনতাহা, সপ্তম শ্রেণী, হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা
অংক শেখা


ছেলে : বাবা, তিনটা আঙুর আর দুটো আঙুর মিলে কটা হয়?
বাবা : এই সহজ অংকটা শিখিসনি? স্কুলে শেখায়টা কী?
ছেলে : অন্য অংক শেখায়, বাবা। কলা যোগ করতে বলে।
সংগ্রহে: জিকরুল সামিরা, সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
গোল্ডফিশ


মা : গোল্ডফিশগুলোকে নতুন পানি দিয়েছিস?
ছেলে : না, মা। কালকের পানিই তো ওরা এখনও খেয়ে শেষ করতে পারেনি!
সংগ্রহে: শিহান ইসলাম, আদমজী ক্যা: স্কুল, ঢাকা
শূন্য


ছাত্র : স্যার, আমাকে শূন্য দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হল না।
শিক্ষক : ঠিকই বলেছো। কিন' এরচেয়ে কম আর কী দিতে পারি বলো?
সংগ্রহে: তৃষা সাদনান, গাজীপুর
ত্রিভুজ


ছেলে : বাবা, ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি দুই সমকোণ, এটা কীভাবে প্রমাণ করবো?
বাবা : বলিস কিরে? ওরা এখনও প্রমাণ বার করতে পারেনি? সেই কোন ছেলেবেলা থেকে দেখছি প্রমাণের জন্য ওরা মাথা কুটে মরছে।
সংগ্রহে: আজহার আহমেদ, ষষ্ঠ শ্রেণী, জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট, সিলেট।
কংকাল কী


শিক্ষক : কংকাল কী, কে বলতে পারো?
ছাত্র : আমি পারবো, স্যার।
শিক্ষক : ঠিক আছে, বলো তো।
ছাত্র : স্যার, কংকাল এমন এক মানুষ যার ভেতরটা আছে কিন্তু বাইরেটা নেই।
সংগ্রহে: আজহার আহমেদ, ষষ্ঠ শ্রেণী, জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট, সিলেট।
ডাক্তার ও রোগী


রোগীঃ ডাক্তার সাহেব আমার দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা,
ডাক্তারঃ হা করুন
রোগীঃ হা..........।
ডাক্তারঃ আরো একটু হা করুন।
রোগীঃ করছি তো।
ডাক্তারঃ আরো সামান্য একটু
রোগীঃ কী ব্যাপার, ডাক্তার সাহেব! আমার মুখের ভিতর বসে দাঁত খুলবেন না কি!
সংগ্রহে: আজহার আহমেদ, ষষ্ঠ শ্রেণী, জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট, সিলেট।
হাসির বই


বই বিক্রেতা : এই বইটা পড়লে হাসতে হাসতে মারা যাবেন।
ক্রেতা : তাহলে এক কপি দিন। আমার বসকে পড়তে দেব।
সংগ্রহে: নাফিসা তাসনিম, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা
Read More »

Sunday, November 1, 2009

0 কৌতুক

10:08 AM Under From রেজওয়ান
[0 Comment]

স্ত্রী: এতক্ষণ ধরে ওই কাগজটিতে কী দেখছ তুমি?
স্বামী: কই, কিছু না তো!
স্ত্রী: আরে, এ যে দেখি ডাহা মিথ্যে কথা বলছ। তুমি প্রায় চার ঘণ্টা ধরে আমাদের কাবিননামা এত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছটা কী, শুনি?
স্বামী: না, তেমন কিছু নয়। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজেও কেন জানি কাবিননামার মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটা বের করতে পারলাম না।

স্ত্রী: আচ্ছা, তুমি সব সময় অফিসে যাওয়ার সময় ব্যাগে করে আমার ছবি নিয়ে যাও কেন?
স্বামী: অফিসে যখন আমি কোনো সমস্যায় পড়ি, তখন তোমার ছবিটি বের করে দেখলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, বুঝলে?
স্ত্রী: তাই নাকি! তাহলে দেখো, তোমার জন্য আমি কতটা সৌভাগ্যের!
স্বামী: হুম, আমার যখন সমস্যা আসে, তখন তোমার ছবি বের করে দেখি আর নিজেকে বলি, তোমার চেয়ে তো বড় কোনো সমস্যা পৃথিবীতে থাকতে পারে না। আর সঙ্গে সঙ্গে ছোট সমস্যাগুলো আর আমার কাছে সমস্যা বলে মনে হয় না।

মৃত্যুশয্যায় শায়িত স্বামী তার স্ত্রীকে বলছেন—
স্বামী: আমি তো আর এক মাস পর মারা যাব, তাই আমি চাই, আমার মৃত্যুর পর তুমি সাজ্জাদ সাহেবকে বিয়ে কর।
স্ত্রী: সাজ্জাদ সাহেব! বলো কি, সে তো তোমার শত্রু। আর তাকে কিনা বিয়ে করতে বলছ তুমি!
স্বামী: আমি জানি সে আমার শত্রু। সাজ্জাদকে শায়েস্তা করার এটাই তো মোক্ষম সুযোগ, বুঝলে?

স্বামী হারিয়ে যাওয়ায় স্ত্রী এক প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গেছেন পুলিশকে বিষয়টি জানাতে। পুলিশ তাঁর স্বামীর বর্ণনা জানতে চাইলেন। স্ত্রী বললেন, ‘আমার স্বামীর বয়স ৩৫ বছর, লম্বায় ছয় ফুট চার ইঞ্চি, ঘন কালো চুল, অ্যাথলেটিক শরীর এবং তিনি বাচ্চাদের খুব পছন্দ করেন।’ এ কথা শেষ হওয়ামাত্র ওই প্রতিবেশী বললেন, ‘আরে, তুমি এসব কী বলছ? তোমার স্বামী তো লম্বায় পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মাথায় টাক আছে আর একদম পাতলা শরীর। কিন্তু তুমি এ কাকে খুঁজতে এসেছ?’ স্ত্রী বললেন, ‘হুম, তা তো আমি জানি। কিন্তু তাকে আর ফিরে পেতে কে চায়?’

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আর যতটুকু বলা প্রয়োজন, তা ইশারায় জানিয়ে দেন। স্বামী দেখলেন, পরের দিন ভোরে তাঁর ফ্লাইট। তাঁকে উঠতে হবে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু স্ত্রী যদি জাগিয়ে না দেন, তবে কিছুতেই ভোরবেলায় তাঁর ঘুম ভাঙবে না। কিন্তু তাঁরা কথাও তো বলেন না। কী আর করা! স্বামী একটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘দয়া করে ভোর পাঁচটায় আমাকে জাগিয়ে দেবে।’ কাগজটি টেবিলের ওপর রেখে দিলেন, যাতে স্ত্রী দেখতে পান। কিন্তু পরের দিন যখন তাঁর ঘুম ভাঙল, তখন সকাল নয়টা বেজে গেছে এবং বিমানও তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি রেগে টং হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তাঁকে জাগানো হলো না। এদিকে স্ত্রীও সমান তেড়িয়া, ‘এত রাগছ কেন? আমি তো তোমার ওই কাগজটিতে লিখে রেখেছি যে এখন ভোর পাঁচটা বাজে, ঘুম থেকে ওঠো। কিন্তু তুমি তো টেরই পেলে না। আমার কী দোষ?’
Read More »