Wednesday, November 4, 2009

0 মেছো জোকস্

Date: Wednesday, November 4, 2009 10:43 PM
Category:
Author: রেজওয়ান
Share:
Responds: 0 Comment
ছোট ছেলেটি স্কুলে যেতে দেরি করেছে । চুপি চুপি ক্লাসে ঢুকতে গিয়েছিল সুপারিটেন্ডেন্টের নজর এড়িয়ে । কিন্তু ধরা পড়ে গেল । সুপার খপ করে তাকে ধরলেন এবং দেরির জবাবদিহি চাইলেন । আমতা আমতা করে সে জবাব দিল :
আমি আজ মাছ ধরতে যাব ঠিক করেছিলাম, কিন্তু বাবা যেতে দিল না ।
সুপারের মুখ মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হল । -- বিচক্ষন পিতা তিনি বললেন । তোমাকে মাছ ধরতে যেতে না দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন । কারণটাও তিনি নিশ্চই ব্যাখ্যা করেছেন তাই না ?
ছোট ছেলেটি জবাব দেয় – হ্যাঁ নিশ্চই স্যার ! তিনি বললেন, যা টোপ আছে, তাতে আমাদের দুজনের কুলোবে না !


মৎস্যশিকারীদের আড্ডায় অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে বসেছিল স্যাম । তা দেখে তার বন্ধু প্রশ্ন করল, কী দোস্ত ! আজ দেখছি মুড অফ ! নতুন করে কিছু হল না কি ?
আর বল কেন ? বউ আলটিমেটাম দিয়েছে, হয় বরাবরের মতো আমাকে মাছ ধরা ছাড়তে হবে, নইলে সে আমাকে বরাবরের মতো ছেড়ে চলে যাবে ! হায় ভগবান! এত ভাল বউটাকে আমি হারাতে চলেছি !


এই যে সেদিন মাছ ধরতে গেলে, বউকে ব্যাপারটা বোঝাতে কোনও সমস্যা হয়নি তো ?
হয়নি আবার ! সেদিনই সে আবিষ্কার করেছিল যে আদৌ আমি মাছ ধরতে যাইনি !


সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি । স্বামীর বঁড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ । কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতো-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তুপে । স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন :
ওগো জলদি কর ! ঝাঁপ দাও ! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে ! ডুব দিয়ে সুতোটা ছাড়াও । নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে !


মৎস্যশিকারীর প্রতিবেশী : এই যে রাম বাবু ! কাল না কি আপনারা কজন মিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ? হেঁ হেঁ ! তা মেজো মাছটা কে ধরলেন ? হেঁ হেঁ !
মেজো মাছ ? সেটা আবার কি ?
হেঁ হেঁ ! মানে সবচেয়ে বড় মাছের পরেরটা । সবচেয়ে বড় মাছটা তো নির্ঘাৎ আপনিই ধরেছেন, হেঁ হেঁ ! তার পরের বড় মাছটা কে ধরলেন, সেটাই জানতে চাইছি ! হেঁ হেঁ !




এক মেছুড়ে গপ্পো বলছে :
-- সেদিন জেটির ধারে ছিপ নিয়ে বসেছি । বসে আছি তো বসেই আছি । হঠাৎ ফাতনা নড়ে উঠল । স্বচ্ছ জলের ভিতর দিয়ে দেখি একটা পুঁটি মাছ টোপ গিলছে । এই তোমার কড়ে আঙুলের সাইজ । ওইটুকু মাছটাকে তুলব কিনা ভাবছি, এমন সময় দেখি বেশ বড় একটা রুইমাছ পুঁটিটাকে গিলে ফেলল । সবে টান দেবার উপক্রম করেছি । দেখি কি একটা বিশাল বোয়াল রুইটাকে কপাৎ করে খেয়ে ফেলল । জয়গুরু বলে দিলাম ছিপে টান ।
-- তারপর ? অধৈর্য শ্রোতা জানতে চান । তারপর কি হল ? আপনি কি বোয়ালটাকে তুললেন ?
-- না আর তোলা হল কই ? পুঁটিমাছটাই যে বঁড়শি থেকে ছেড়ে গেল !


মেছুড়ের বাড়িতে অনেকদিন বাদে বন্ধু এসেছেন । ড্রয়িংরুমে দেখেন কাচের বাক্সে বড় একটা মাছ স্টাফ করে সাজিয়ে রাখা আছে । ব্যাপারটা কি জানতে চাইলে মেছুড়ে বললেন :
-- গতবার মাছ ধরতে গিয়ে এটা পেয়েছিলাম । একা একটা ডিঙি নিয়ে বেরিয়েছিলাম । মাছটা টোপ গেলার পর কয়েক ঘন্টা আমার তো নাকানিচোবানি অবস্থা । ডিঙি সামলাই না মাছ সামলাই ! ডিঙি প্রায় উল্টে যায় এমন অবস্থা ! আর তুমি তো জানোই আমি সাঁতার জানি না । সে এক জীবন-মরন অবস্থা ! হয় মাছ, না হয় আমি - যে কোন একজন বাঁচবে !
-- তবে, বন্ধু উত্তর দিলেন, ডেকরেশনের দিক থেকে মাছটাই ভালো বলে আমার মনে হয় !


মাছ ধরার নেশায় না কি সব কিছু ভুলিয়ে দেয় । কিন্তু বিয়ের কথা যে ভোলে না, নীচের গল্পটা তার প্রমান ।
এক প্রৌঢ় এবং এক যুবক মাছ ধরতে বেরিয়েছে । সেদিন সত্যিই তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল । প্রচুর মাছ ধরে তারা দিনের শেষে যখন বাড়ি ফিরছে, তখন প্রৌঢ় বললেন :
-- দিনটা দারুণ ছিল ! কি বল ?
-- যা বলেছেন ! এত বড় বড় মাছ কখনও তুলিনি ! যুবকের উত্তর ।
-- তাহলে আগামী কাল সকালে ফের আসব ! কী হে রাজি আছ তো ?
-- আগামীকাল ? আগামীকাল যে আমার বিয়ে ! থাকগে, বিয়েটা না হয় একদিন পিছিয়ে দেব ! -- যুবকের ঘোষণা ।


চার মহিলা ব্রীজ খেলছেন । ম্যান্টেলপিসের উপর স্টাফ করা বিশাল হাঙরটা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষন করছিল । গৃহকত্রী বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন :
-- আমি এবং আমার স্বামী গভীর সমুদ্রে এই হাঙরটাকে ধরেছিলাম ।
-- কিন্তু হাঙরটাকে বেশ মোটা লাগছে । ওটার পেটের ভেতর কী পোরা আছে ?
-- আমার স্বামী !


নদীর ধারে তাঁবু গেড়ে দুজন মাছ ধরছেন । ফিশিং ইন্সপেক্টর যথারীতি হাজির ।
-- এই ছিপটা কার আমি জানতে চাই । -- ইন্সপেক্টর গম্ভীর গলায় বলেন ।
-- আমার ।
-- আপনি কি জানেন না, এখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ?
-- জানি বই কি ! তবে, সত্যি কথাই বলি, আমরা কিন্তু মাছ ধরছি না । আমরা একটা সুতোয় বিয়ারের বোতল বেঁধে সেটাকে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি মাত্র ! যাতে বিয়ারটা ঠান্ডা হয় । বুঝেছেন তো ?
-- হুম ! ইন্সপেক্টরের গম্ভীর মুখ গম্ভীরতর হয় । আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতায় কখনও কোনও বিয়ারের বোতল দেখিনি যেটা কিনা বৃত্তাকার ঘোরে আর মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য জলের ওপর ভেসে ওঠে !


আচ্ছা জিম, যে বিশাল মাছটা তোমার সুতো ছিঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, সেটা ঠিক কত বড় ছিল ?
-- সে তো ভাই বলতে পারব না ? এটুকু জানি, আমার হুইলে ৫০ গজ নতুন সুতো ছিল । ব্রিমটা টোপ গিলেই উজানে ছুটল । হুইলের সুতোও শেষ হল, আর আমি দেখলাম ব্রিমটার ল্যাজ তখনও নৌকার ধার দিয়ে চলেছে ।


দুটো গোল্ডফিশ ঝকঝকে অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে সাঁতার কাটছে । হঠাৎ একটি আরেকটিকে প্রশ্ন করে :
-- আচ্ছা আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ?
দ্বিতীয় গোল্ডফিশটি সামনের পাখনাদুটো মাথায় ঠেকিয়ে উত্তর দেয় :
-- বলেন কি মশাই ? ঈশ্বরে বিশ্বাস করব না ? অবশ্যই করি । দিনে দুবার আমাদের এ ঘরের জল পালটে দেন কে তাহলে ?


অনেকক্ষন পাশে দাঁড়িয়ে অন্যের মাছ ধরা দেখছেন এক ভদ্রলোক । মাঝে মাঝে ফুট কাটছেন । মৎস্যশিকারীর মেজাজও স্ফূটনাঙ্কের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে । এক সময় দর্শক ভদ্রলোক প্রশ্ন করেন :
-- আচ্ছা আজ কি মাছ ঠোকরাচ্ছে না ?
ক্রুদ্ধ মৎস্যশিকারী উত্তর দিলেন :
-- জানি না মশাই ! আর যদি ঠুকরেও থাকেও তারা একে অন্যকে ঠোকরাচ্ছে !


ছোট্ট বাপন তার মাকে জিজ্ঞেস করে :
-- আচ্ছা মা, সব গল্পই কি শুরু হয় এক যে ছিল রাজা দিয়ে ?
মা বলেন :
-- না বাবা । কখনও কখনও তার শুরুটা হয় এরকম : সে মাছটা ছিল কম সে কম দশ ফুট লম্বা, লেজটা ধরলে আরও............!

Artikel Terkait :



Post a Comment