Wednesday, October 28, 2009

1 ভোলা নাথের কৌতুক‍

Date: Wednesday, October 28, 2009 2:57 AM
Category:
Author: রেজওয়ান
Share:
Responds: 1 Comment

একবার ভোলার কাছে তার বন্ধু রামের একটি চিঠি এল। চিঠিতে লেখা, ‘ভোলাজি, আমি একটা মহা ঝামেলায় পড়েছি, একমাত্র তুমিই পার এই ঝামেলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে। দয়া করে যদি তুমি আমাকে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও, তাহলে বর্তে যাই আমি। ছয় মাস পরই ধারের টাকা শোধ করে দেব।’ এই চিঠি পেয়ে ভোলার মাথা তো একদম গরম। ওই ব্যাটা রাম যে একটা জোচ্চোর তা ভালো করেই জানে ভোলা। মরে গেলেও সে কিছুতেই এ টাকা শোধ করবে না। মহা চিন্তায় পড়ল ভোলা। ভাবতে ভাবতে হুট করেই বুদ্ধি করল, এবার তাকে একটা পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে দিই। ভোলা চিঠিতে লিখে দিল, ‘ভাই রামজি, আমি খুবই দুঃখিত যে, তুমি ১০ হাজার টাকা চেয়ে যে চিঠিটি আমার ঠিকানায় পাঠিয়েছ, তা হয়তো ভুল করে অন্য কারও কাছে গেছে। তাই সেই চিঠিটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তাই তোমাকে টাকাটা দিতে পারলাম না বলে ক্ষমা কোরো।’

একবার এক অভিনব কৌতুক প্রতিযোগিতার আয়োজন হলো। সর্বমোট ১০০টি কৌতুক বলা হবে। যে ব্যক্তি পুরো ১০০টি কৌতুক শোনার পরও একটুও হাসবে না, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। তো, এই খবর শুনে ভোলা বন্ধুবান্ধব নিয়ে লাফাতে লাফাতে সেখানে গিয়ে হাজির। ভোলাসহ সব প্রতিযোগী নিজ নিজ আসনে বসে আছে। সামনে চলছে কৌতুক পরিবেশন। কৌতুক শুনে সবাই হো হো করে হাসতে হাসতে একজন একজন করে বাদ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভোলার মুখে কোনো হাসি নেই। এভাবে ৯৯টা কৌতুক শেষ এর পরও ভোলাকে কেউ হাসাতে পারল না। কিন্তু ১০০ নম্বর কৌতুক শুনেই পেট চেপে ধরে হাসতে হাসতে ভোলা গড়াগড়ি দিচ্ছিল। তার বন্ধুরা তো এবার রেগে অগ্নিশর্মা। পাশ থেকে বলতে লাগল, ‘আরে বুদ্ধু, এই শেষবেলায় এসে হাসছিস কেন? পুরস্কারটা তো আমাদের হাতছাড়া করে দিলি। সব বরবাদ হয়ে গেল’ ভোলা বলল, ‘আরে দোস্ত, আমি কী করব? এইমাত্র কানে লাগানো ছিপিটা খুলে গেল যে।

একদিন ভোলা এক মুদিদোকানে গেল তার বিড়ালের জন্য খাবার কিনতে। তাকে দেখে দোকানদারের একটু সন্দেহই হলো, ভোলার তো কোনো বিড়াল নেই। ওই ব্যাটা বিড়ালের খাবার অল্প দামে কিনে শেষে না আবার নিজেই খেয়ে ফেলে। তাই দোকানদার জানিয়ে দিল, তাকে ওই বিড়ালটি দেখাতে হবে। তারপর সে বিড়ালের খাবার বিক্রি করবে। কী আর করা! বাসা থেকে ভোলা বিড়াল এনে দেখিয়েই খাবারটি কিনল।
পরের সপ্তাহে আবার ভোলা ওই একই দোকানে গেল তার প্রিয় কুকুরটির জন্য খাবার কিনতে। কিন্তু এবারও মহা ফ্যাসাদে পড়ে গেল সে। দোকানদারও নাছোড়বান্দা। কুকুর তাকে দেখাতেই হবে। তারপর খাবার বিক্রি। তো ভোলা আবারও বাসা থেকে কুকুর এনে দোকানদারকে দেখিয়ে খাবার নিয়ে গেল।
কিছুদিন পর আবারও ভোলা হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে ওই দোকানে গিয়ে হাজির। ব্যাগটি দোকানদারকে দিয়ে বলল, ‘দেখেন।’ দোকানদার ব্যাগ খুলে ওয়াক ওয়াক থু থু করতে লাগল, ‘ছি ছি ভোলা, তুমি কফ-থুথু এসব ব্যাগে ভরে নিয়ে এসেছ কেন!’ ভোলা বলল, ‘আরে মশাই, ঠিকই তো আছে। এবার যে আমি টিস্যু পেপার কিনতে এসেছি!’

জীবনের প্রথম ভোলানাথ গ্রাম থেকে শহরে এসে একটা হোটেলে উঠেছে। হোটেলবয় তাকে কক্ষ দেখানোর জন্য নিয়ে যাওয়ার পর ছোট্ট একটা কক্ষে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। ভোলানাথ দেখল সেখানে আরও একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তো তাকে ভোলানাথ বলল, ‘মশাই, দেখুন তো, আমি গ্রাম থেকে এসেছি। টাকাও সব শোধ করে দিয়েছি। কিন্তু এই ব্যাটারা কত ছোট্ট একটা ঘর আমাকে দিয়েছে। থাকার কথা ছিল আমার একার কিন্তু এখন দেখছি, মশাই, আপনিও আমার ঘরে। তারপর ওপরে আবার বিছানা নেই, নেই বাতাস ঢোকার কোনো ব্যবস্থা। ব্যাটারা কেমন জোচ্চোর বুঝুন।’
এমন সময় হোটেলবয় এসে জানাল, ‘আরে মশাই, এটা তো আপনার কক্ষ নয়। এটা তো লিফট।’

ভোলানাথ আর তার কাকা একবার ব্যবসা করার পরিকল্পনা করল। অনেক ভেবেচিন্তে তারা ঠিক করল রেস্তোরাঁর ব্যবসা করবে। যেই ভাবা সেই কাজ। রেস্তোরাঁ তৈরি হলো। রান্নাবান্নাও হলো। তারপর তারা ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। কিন্তু কোনো ক্রেতাই সেদিন আর এল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহ পার হলো, কিন্তু ক্রেতার কোনো দেখা নেই।
শেষে জানা গেল, ভোলানাথ তাদের রেস্তোরাঁর সামনে বড় করে লিখে দিয়েছিল ‘দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ’।
তো ব্যর্থ হয়ে তারা ভাবল, তাদের দিয়ে আর যা-ই হোক রেস্তোরাঁর ব্যবসা হবে না। এবার তারা আবার মোটর গ্যারেজের ব্যবসা শুরু করল। যন্ত্রপাতিও কেনা হলো। কিন্তু ‘যাহা কদু তাহাই লাউ’য়ের মতো অবস্থা। দিনমান অপেক্ষার পরও কোনো গাড়িই তাদের গ্যারেজে ঢুকল না। এভাবে এক দিন দুই দিন করে সপ্তাহই শেষ, কিন্তু গাড়ির কোনো খবর নেই। তো, তাদের গ্যারেজে কোনো গাড়ি না আসার কারণ হলো, গ্যারেজটি ছিল একটি ভবনের তৃতীয় তলায়।

Artikel Terkait :



1 comment

May 11, 2014 at 12:30 PM

আমরা কেন হাই তুলি? জেনে নিন আজব যত কারণ!

সবচাইতে সাম্প্রতিক তত্ব, যার সাথে বেশিরভাগ গবেষকই সহমত পোষণ করেন, তা হলো হাই তোলার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা থাকে। মস্তিষ্ক যখন কোনো কারণে গরম হয়ে যায় তখনি আমাদের হাই তুলতে ইচ্ছা হয়। আমাদের মস্তিষ্ক খুব বেশি পরিমাণে শক্তি খরচ করে। এর আকৃতি সারা শরীরের তুলনায় ছোট হলেও, তা খরচ করে বিপাকীয় শক্তির প্রায় ৪০ শতাংশও। আর মস্তিষ্ক প্রায়ই গরম হয়ে যায়, যেভাবে আমাদের কম্পিউটার বেশিক্ষণ চললে গরম হয়ে যায়। আমরা ক্লান্ত হয়ে গেলে, বোর হতে থাকলে বা অসুস্থ থাকলে গরম হয়

Post a Comment