Wednesday, October 28, 2009

0 সর্দারজি - ৩

Date: Wednesday, October 28, 2009 3:18 AM
Category:
Author: রেজওয়ান
Share:
Responds: 0 Comment

একবার এক রেস্তোরাঁয় সর্দারজি আর তাঁর এক বন্ধু কফি খেতে ঢুকেছেন। তাঁরা গল্প করতে করতে কফি খাচ্ছেন। হুট করে মূল্যতালিকার দিকে চোখ পড়তেই সর্দারজি তাঁর বন্ধুকে বললেন, ‘আরে ভাই, কথা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি কফি শেষ করো; নইলে এই এক কাপ কফির জন্য আবার দ্বিগুণ দাম গুনতে হবে।’ বন্ধুটি বলে বসলেন, ‘মগের মুল্লুক নাকি, এক কাপ কফি খেয়ে দুই কাপের দাম দেব!’ সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা, বেশি বকবক না করে মূল্যতালিকার দিকে তাকাও। এক কাপ হট কফির দাম ১০ টাকা, আর কোল্ড কফির দাম ২০ টাকা। কফি ঠান্ডা হয়ে গেলে তো মহা ঝামেলায় পড়ব।’

দুই সর্দারজি তাঁদের বাবাদের কাজকর্ম নিয়ে তর্কবিতর্ক করছেন—
প্রথম সর্দারজি: তুমি কখনো সুয়েজ খালের কথা শুনেছ?
দ্বিতীয় সর্দারজি: শুনব না আবার! এটা তো ছোট্ট বাচ্চাও জানে।
প্রথম সর্দারজি: হুম...এই খাল পুরোটাই আমার বাবা খনন করেছিলেন।
দ্বিতীয় সর্দারজি: চাপাবাজি ছাড়ো, এটা কখনো হতেই পারে না। কিন্তু তুমি কি ডেড সির কথা জানো?
প্রথম সর্দারজি: কেন, কী হয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় সর্দারজি: আরে বুদ্ধু, এত কিছু জানো, আর এটাই জানো না। আমার বাবাই তো ওটাকে মেরে ফেলেছিলেন।

একদিন সর্দারজি তাঁর অফিসের ১৫তম তলায় বসে আছেন। হুট করে এক লোক হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এসে তাঁর গায়ে ধাক্কা মেরে বললেন, ‘বান্তা সিং, আপনার মেয়ে জয়িতা তো গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে।’ এ কথা শুনে কী করবেন ভেবে না পেয়ে সর্দারজি জানালা দিয়ে দিলেন এক লাফ। ওপর থেকে পড়তে পড়তে যখন দশম তলার কাছে এলেন, ঠিক তখনই তাঁর মনে হলো, জয়িতা নামে তাঁর তো কোনো মেয়ে নেই। পঞ্চম তলার কাছাকাছি আসতেই আবার তাঁর মনে হলো, তাঁর তো এখনো বিয়েই হয়নি, ‘ওই ব্যাটা ত্যাঁদড় মিথ্যা কথা বলে আমাকে জানালা দিয়ে লাফ দেওয়াল। এবার ঠিক যে মুহূর্তে তিনি মাটিতে পড়ে যাবেন, ঠিক সেই সময় তাঁর মনে হলো, ‘আরে, আমি তো বান্তা সিং নই!’ তাহলে...

সর্দারজি একবার ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। চেকার সর্দারজির কাছে টিকিট দেখতে চাইলেন। সর্দারজি ভদ্রভাবে জানালেন, ‘আমার ডান পকেটে একটা আর বাঁ পকেটে আরেকটা টিকিট আছে। কোনটা দেখাব?’ টিকিট চেকার ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললেন, ‘ঠিক আছে, দুটোই দেখাও।’ তো দুটো টিকিট দেখার পর চেকার সর্দারজির কাছে একসঙ্গে দুটো টিকিট কেনার কারণ জানতে চাইলেন। সর্দারজি বললেন, ‘যদি কেউ আমার একটা পকেট মেরে দেয়, তাহলে তো আরেকটা পকেটে টিকিট থাকল। সেটা দিয়ে কাজ চালাব।’ চেকার আবার বললেন, ‘মনে করো, তোমার দুটো পকেটই চুরি হয়েছে, তখন কী করবে?’
সর্দারজি, ‘আরে মশাই, আমি কি অত বোকা নাকি, শুধু দুটো টিকিট নিয়েই আমি ট্রেনে চেপে বসেছি মনে করেছেন! আমার কাছে প্যান্টের পকেটে তো পুরো এক মাসের ফ্রি পাসই আছে।’

একদিন এক সর্দারজি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে প্রথমবারের মতো মুম্বাই শহরে গিয়েছেন। সকালবেলায় বাবা শহরের এক মাথায় তাঁকে নামিয়ে দিয়ে ঘোরাঘুরি করে যেদিকে সূর্য ওঠে সে পথ ধরে বাসায় যেতে বলেছেন। তো ঘোরাঘুরি করার পর তিনি আর বাসায় ফেরার পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কী করা যায়, এ নিয়ে ভাবতে লাগলেন। একবার চিন্তা করলেন, কাউকে জিজ্ঞেস করা যাক। ওই পথ ধরেই হেঁটে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। সর্দারজি ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন, ‘দাদা, এই মুম্বাই শহরে সূর্যটা কোন দিক দিয়ে ওঠে, বলতে পারেন?’ সেই ব্যক্তি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, ‘না ভাই। আমি এই শহরে নতুন এসেছি। এখনো ভালো করে দেখতেই পারিনি যে এখানে সূর্যটা কোন দিকে ওঠে।’

একবার সর্দারজি একটি নতুন মারুতি কিনে ভাবলেন, কিছুদিনের জন্য এ গাড়ি চালিয়ে বন্ধুর বাসা থেকে ঘুরে আসা যাক। তো গাড়ি চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বন্ধুর বাসায় পৌঁছলেন। কয়েক দিন পর ফেরার পালা। সর্দারজি তাঁর মাকেও জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসছেন তিনি। কিন্তু এক ঘণ্টা যায়, দুই ঘণ্টা যায়, সর্দারজি বাসায় ফেরেন না। অবশেষে যখন সর্দারজি বাসায় পৌঁছলেন, তখন এক দিন পার হয়ে গেছে। মা অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, দেরি হওয়ার কারণ কী? সর্দারজি বললেন, ‘যারা মারুতি গাড়ি বানিয়েছে, তারা তো একদম পাগল। সামনে যাওয়ার জন্য বানিয়েছে চার গিয়ার আর পেছনে যাওয়ার জন্য মাত্র এক গিয়ার। এ জন্যই তো পেছনে আসতে এত দেরি হলো!’

Artikel Terkait :



Post a Comment