একবার ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে সর্দারজির চোখ তো ছানাবড়া। তিনি রচনা পড়ে গিয়েছেন ‘মাই ফ্রেন্ড’ আর প্রশ্নে এসেছে ‘মাই ফাদার’। প্রশ্ন নিয়ে কিছুক্ষণ উসখুস করে ভাবতে লাগলেন, কী করা যায়? হুম্, পেয়েছি। বিষয়টা পানির মতোই সহজ মনে হচ্ছে। শুধু ফ্রেন্ডের জায়গায় ফাদার বসিয়ে দিলেই তো খেল খতম! তো এই ভেবেই সর্দারজি ইংরেজিতে ‘মাই ফাদার’ রচনা লেখা শুরু করলেন এভাবে, ‘আমার অনেক বাবা আছে, কিন্তু দারা সিং আমার খুব প্রিয় একজন বাবা। তিনি প্রায়ই আমাদের বাসায় আসেন। তাঁর সঙ্গে আমি অনেক খেলা করি। আমার মাও তাঁকে খুব পছন্দ করেন।’
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের বাবাই প্রকৃত বাবা।’
*
একবার তিন সর্দারজি সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখানে একটি ১০০ তলা হোটেলের ঠিক ১০০ তলায়ই কক্ষ ভাড়া পেলেন।
এক গভীর রাতে বাইরে থেকে ফিরে লিফট বন্ধ থাকায় প্রতি ৩৩ তলায় একজন একটা করে গল্প বলে বলে সিঁড়ি ভেঙেই ওপরে উঠতে থাকলেন তিন সর্দার। উঠছেন আর গল্প করছেন। প্রথম সর্দারজি ৩৩ তলায় উঠে গল্প বলা শেষ করার পর তৃতীয় সর্দারজি জানালেন, ‘আমার কাছে আরও একটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু সেটা আমি একদম ওপরে উঠে বলব।’ সবার গল্প শেষ হলে তাঁরা ১০০ তলায় পৌঁছালেন।
এরপর প্রথম সর্দারজি তৃতীয় সর্দারজিকে: তো বাপু, তোমার করুণ গল্পটা কী, বলো তো দেখি।
তৃতীয় সর্দারজি: আমি ম্যানেজারের কক্ষ থেকে আমাদের কক্ষের চাবিটাই আনতে ভুলে গেছি।
কী আর করা, আবারও সিঁড়ি ভেঙে নিচতলার দিকে নামতে লাগলেন তাঁরা। এমন সময় দ্বিতীয় সর্দারজি বলে উঠলেন, ‘আরে, আমার কাছেও তো আরেকটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু আমি তা নিচে নেমেই বলব!’
নিচে নামার পর তাঁকে বলা হলো, ‘ঠিক আছে, এবার শোনাও তোমার সেই করুণ কাহিনী।’
দ্বিতীয় সর্দারজি: আমাদের কক্ষের চাবিটা আমার পকেটেই রয়ে গেছে।
রাগে-ক্ষোভে বাধ্য হয়েই তাঁরা আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে যাচ্ছেন। কিছুদূর গিয়েই তৃতীয় সর্দারজি বললেন, ‘ওহে, আমার কাছেও তো একটা করুণ গল্প ছিল। কিন্তু এখন তো আমার ক্লান্ত লাগছে, তাই একদম ওপরে উঠেই তোমাদের গল্পটা শোনাব।’
এভাবে হেঁটে ১০০ তলায় ওঠার পর তৃতীয় সর্দারজিকে তাঁর গল্পের কথা বলা হলো।
তৃতীয় সর্দারজি: আসলে এটা তো আমাদের হোটেল নয়। এটার ঠিক বিপরীতে ১০০ তলা যে হোটেলটি দেখা যাচ্ছে, সেটিই হচ্ছে আসলে আমাদের হোটেল।
*
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সর্দারজির খুব ঘুম পাচ্ছিল তখন। তিনি তাঁর সামনে বসা এক ব্যক্তিকে ২০ রুপি দিয়ে বললেন, ‘দাদা, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে দয়া করে আমাকে ডেকে দেবেন।’ লোকটি ছিলেন একজন সামান্য ক্ষৌরকার। বেচারা ২০ রুপি পেয়ে বেজায় খুশি। সে ভাবল, ২০ রুপি যখন দিলই, তখন শুধু জাগিয়ে দেওয়াই কেন, আরেকটু খেদমত করা যাক সর্দারজিকে। তাই সর্দারজি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ঝোলা থেকে ক্ষুর বের করে খুব যত্নের সঙ্গে তাঁর সব দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিলেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে এসে নরসুন্দরের ডাকে সর্দারজির ঘুম ভেঙে গেল। হেলেদুলে বাসায় ফিরলেন সর্দারজি। হাতমুখ ধুতে গিয়ে হঠাত্ আয়নায় তাকালেন একবার। তাকিয়েই ভীষণ অবাক তিনি, আরে, ব্যাপার কী, আপনি কে? তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিলেন, ‘আরে সব্বনাশ হয়েছে, আমার ২০ রুপি খেয়ে ওই গর্দভ আমার সঙ্গে চালবাজি করেছে। আমাকে না জাগিয়ে, জাগিয়ে দিয়েছে অন্য আরেকজনকে!’
*
প্রশ্নকর্তা: আপনার জন্মদিন কবে?
সর্দারজি: ১৩ অক্টোবর।
প্রশ্নকর্তা: কোন সালে?
সর্দারজি: আরে মশাই, বোকার মতো কথা বলছেন কেন! প্রতিবছরই তো আমার জন্মদিন।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, ইংরেজিতে একটি শব্দ বানান করে লিখতে পারবেন, যাতে ১০০টি লেটার থাকে?
সর্দারজি: কেন! P...O...S...T...B...O...X.
প্রশ্নকর্তা: হুম্, এবার কল্পনা করুন তো, আপনার ঘরে আগুন লেগেছে। কী করে ঘর থেকে বেরোবেন?
সর্দারজি: কেন! আমি কল্পনা করাই বন্ধ করে দেব।
রচনার একদম শেষে লিখে দিলেন, ‘অসময়ের বাবাই প্রকৃত বাবা।’
*
একবার তিন সর্দারজি সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গেছেন। সেখানে একটি ১০০ তলা হোটেলের ঠিক ১০০ তলায়ই কক্ষ ভাড়া পেলেন।
এক গভীর রাতে বাইরে থেকে ফিরে লিফট বন্ধ থাকায় প্রতি ৩৩ তলায় একজন একটা করে গল্প বলে বলে সিঁড়ি ভেঙেই ওপরে উঠতে থাকলেন তিন সর্দার। উঠছেন আর গল্প করছেন। প্রথম সর্দারজি ৩৩ তলায় উঠে গল্প বলা শেষ করার পর তৃতীয় সর্দারজি জানালেন, ‘আমার কাছে আরও একটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু সেটা আমি একদম ওপরে উঠে বলব।’ সবার গল্প শেষ হলে তাঁরা ১০০ তলায় পৌঁছালেন।
এরপর প্রথম সর্দারজি তৃতীয় সর্দারজিকে: তো বাপু, তোমার করুণ গল্পটা কী, বলো তো দেখি।
তৃতীয় সর্দারজি: আমি ম্যানেজারের কক্ষ থেকে আমাদের কক্ষের চাবিটাই আনতে ভুলে গেছি।
কী আর করা, আবারও সিঁড়ি ভেঙে নিচতলার দিকে নামতে লাগলেন তাঁরা। এমন সময় দ্বিতীয় সর্দারজি বলে উঠলেন, ‘আরে, আমার কাছেও তো আরেকটা করুণ গল্প আছে, কিন্তু আমি তা নিচে নেমেই বলব!’
নিচে নামার পর তাঁকে বলা হলো, ‘ঠিক আছে, এবার শোনাও তোমার সেই করুণ কাহিনী।’
দ্বিতীয় সর্দারজি: আমাদের কক্ষের চাবিটা আমার পকেটেই রয়ে গেছে।
রাগে-ক্ষোভে বাধ্য হয়েই তাঁরা আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে যাচ্ছেন। কিছুদূর গিয়েই তৃতীয় সর্দারজি বললেন, ‘ওহে, আমার কাছেও তো একটা করুণ গল্প ছিল। কিন্তু এখন তো আমার ক্লান্ত লাগছে, তাই একদম ওপরে উঠেই তোমাদের গল্পটা শোনাব।’
এভাবে হেঁটে ১০০ তলায় ওঠার পর তৃতীয় সর্দারজিকে তাঁর গল্পের কথা বলা হলো।
তৃতীয় সর্দারজি: আসলে এটা তো আমাদের হোটেল নয়। এটার ঠিক বিপরীতে ১০০ তলা যে হোটেলটি দেখা যাচ্ছে, সেটিই হচ্ছে আসলে আমাদের হোটেল।
*
একদিন সর্দারজি ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সর্দারজির খুব ঘুম পাচ্ছিল তখন। তিনি তাঁর সামনে বসা এক ব্যক্তিকে ২০ রুপি দিয়ে বললেন, ‘দাদা, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালে দয়া করে আমাকে ডেকে দেবেন।’ লোকটি ছিলেন একজন সামান্য ক্ষৌরকার। বেচারা ২০ রুপি পেয়ে বেজায় খুশি। সে ভাবল, ২০ রুপি যখন দিলই, তখন শুধু জাগিয়ে দেওয়াই কেন, আরেকটু খেদমত করা যাক সর্দারজিকে। তাই সর্দারজি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ঝোলা থেকে ক্ষুর বের করে খুব যত্নের সঙ্গে তাঁর সব দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিলেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যে এসে নরসুন্দরের ডাকে সর্দারজির ঘুম ভেঙে গেল। হেলেদুলে বাসায় ফিরলেন সর্দারজি। হাতমুখ ধুতে গিয়ে হঠাত্ আয়নায় তাকালেন একবার। তাকিয়েই ভীষণ অবাক তিনি, আরে, ব্যাপার কী, আপনি কে? তিনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিলেন, ‘আরে সব্বনাশ হয়েছে, আমার ২০ রুপি খেয়ে ওই গর্দভ আমার সঙ্গে চালবাজি করেছে। আমাকে না জাগিয়ে, জাগিয়ে দিয়েছে অন্য আরেকজনকে!’
*
প্রশ্নকর্তা: আপনার জন্মদিন কবে?
সর্দারজি: ১৩ অক্টোবর।
প্রশ্নকর্তা: কোন সালে?
সর্দারজি: আরে মশাই, বোকার মতো কথা বলছেন কেন! প্রতিবছরই তো আমার জন্মদিন।
প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, ইংরেজিতে একটি শব্দ বানান করে লিখতে পারবেন, যাতে ১০০টি লেটার থাকে?
সর্দারজি: কেন! P...O...S...T...B...O...X.
প্রশ্নকর্তা: হুম্, এবার কল্পনা করুন তো, আপনার ঘরে আগুন লেগেছে। কী করে ঘর থেকে বেরোবেন?
সর্দারজি: কেন! আমি কল্পনা করাই বন্ধ করে দেব।
Post a Comment